নিজস্ব প্রতিবাদকঃ
ফরিদপুর কোতোয়ালী থানাধীন কানাইপুর ইউনিয়নের ঝাউখালি গ্রামের মোঃ বিল্লাল খান এর মেঝ পুত্র ওবায়দুরকে হাতুড়ি পেটা করলো দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী ও কানাইপুরের মূর্তিমান আতঙ্ক একাধিক হত্যা চাঁদাবাজি মাদক ছিনতাই লুটতরাজ মামলার জামিন প্রাপ্ত খায়রুল ইসলাম ওরফে খাজা। জানা যায়, ১০ জানুয়ারি আনুমানিক বিকাল ৪ টার সময় ওবায়দুর কানাইপুর পেট্রোল পাম্পে তেল নিচ্ছিল, তখন খাজা ও তার সহযোগীরা একটি প্রাইভেটকার যোগে এসে ওবায়দুর কে তুলে নিয়ে জলিল নামে এক ব্যক্তির বাড়ির সামনে নৃশংস ভাবে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে ফেলে রেখে যায়। এ সময় ওবায়দুরের আর্ত চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এসে মুমূর্ষ অবস্থায় ওবায়দুরকে দেখতে পায়। ও পরবর্তীতে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক, পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ওবায়দুরকে মৃত ঘোষণা করেন।এ সময় ওবায়দুরের মৃত্যুর সংবাদ শুনে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছুটে আসেন মরহুম চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফের কন্যা জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী নায়াব ইউসুফ। জানা যায় দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী খাজা ৯ নং কানাইপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলতাব হোসেন এর আপন সহোদর। জনশ্রুতি আছে আলতাফ চেয়ারম্যান কানাইপুরে তার একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তারের জন্য আপন ছোট ভাই খাজার নেতৃত্বে খাজা বাহিনী নামে একটি সন্ত্রাসী সিন্ডিকেট তৈরি করেন। এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্ত্রাসীরা ওবায়দুর কে হাতুড়ি পেটা ও কুপিয়ে একটি চোখ উপড়ে ফেলে হত্যা করেন। ওবায়দুর মৃত্যুর আগে কয়েকজন সঙ্ঘবদ্ধ সন্ত্রাসীদের নাম বলে গেছেন এদের মধ্যে, নিজাম নিজাম, রাশেদ, নাজমুল, রাসেল,ও রেজাউলসহ আরও অনন্ত ১০-থেকে ১২ জন সন্ত্রাসীরা
ওবায়দুল কে নির্মমভাবে হত্যা করে। এ সময় নিহত রাজিবের ভাই সাংবাদিকদের বলেন খাজা চেয়ারম্যানের ভাইয়ের সুবাদে কানাইপুর শিল্প অঞ্চলে ব্যাপক চাঁদাবাজি করে আসছেন বেপরোয়া ভাবে। এই খুনি খাজা বাহিনীর সিন্ডিকেটের বিচারের দাবি জানান। এ ব্যাপারে কোতোয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ আসাদুজ্জামানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, নিহত ওবায়দুর সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার হয়ে
মারা যায়।
<p>সম্পাদক ও প্রকাশকঃ</p><p>নাজমুল হুদা বাশার </p><p>০১৭১১২৫৩৬৭৬</p><p><br></p>
© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫