নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ফরিদপুর অফিস থেকে প্রকাশিত
ফরিদপুর নদী গবেষণা ইনস্টিটিউট ২৭ জানুয়ারী-২৫ তারিখে ভারতের অরুণাচল প্রদেশের সিয়ান নদী ও চীনের তিব্বত সীমান্তে বাঁধ নির্মাণের ক্ষেত্রে জোরালো ভাবে বলা হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ অন্তবর্তীকালীন সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়াদা রিজাওয়ানা হাসান।
সোমবার ফরিদপুর নদী গবেষণা ইনস্টিটিউটের সার্কিট হাউজের সম্মেলন কক্ষে এ কথা বলেন। এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন অন্তবতীকালীন সরকারের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। অনুষ্ঠানের মাঝামাঝি সময়ে দুপুর ২টার সময় সাংবাদিকদের সাথে বিভিন্ন ধরণের কথা বলেন।
ভারতের অরুণাচল প্রদেশের সিয়ান নদী ও চীনের তিব্বত সীমান্তে বাঁধ নির্মাণের ক্ষেত্রে দেশে পানি সংকট ও খড়ায় কোনো প্রভাব পড়বে কি-না? এমন প্রশ্নের উত্তরে উপদেষ্টা বলেন, চীনের তিব্বতে সর্ববৃহৎ জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের প্রকল্পের বিষয়ে তথ্য চেয়ে চীনকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়েছে। সে প্রেক্ষিতে চীন আমাদের বলেছেন, তাদের এই প্রকল্পে লোআর রিপারিয়ান (নিম্ন জলজ ভূমি এলাকা) দেশগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হবে না বলে আশ্বস্ত করেছেন, তারপরও আমরা পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছি।তারা যেন আমাদের কাছে তথ্য-উপাত্ত চায় আমরা সার্বিকভাবে সহযোগিতা করব।কারণ তথ্য-উপাত্ত না পেয়ে এখনও কিছু বলা সম্ভব নয়। অন্যদিকে ভারতে যেখানে বাঁধ নির্মাণের কথা বলা হচ্ছে, সেখানে অভ্যন্তরীণ বিরোধ রয়েছে বলে জানান।
তিনি আরও বলেন, একদিকে পদ্মায় অন্যদিকে তিস্তার পানি কমে গিয়েছে। এখন যদি ব্রহ্মপুত্রের পানি কমে যায়, তাহলে নদীমাতৃক বাংলাদেশের বৈশিষ্ট্য হারিয়ে যাবে এবং বড় ধরনের কম্প্রমাইজে পড়ব। কাজেই উভয় দেশের কাছে আমরা চাইব, আমাদের স্বার্থ অক্ষুণ্ন রেখে কাজ করে সে বিষয়ে নিশ্চিত করা হবে।
এসময় নদী গবেষণা ইনস্টিটিউটের নতুন কাজের অবকাঠামোর বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, নদী গবেষণাকে কয়েকটি নির্দেশনা দেয়া হয়েছে যেটা তাদের ভিজিবিলিটি বাড়াতে সহায়তা করবে। যেমন শিল্প প্রবণ এলাকায় নদী কি পরিমাণ দূষিত হয়ে থাকে, ঢাকার বড় বড় নদীগুলো দূষণের বিষয়ে জিপিএস পয়েন্ট দিয়ে এই প্রতিষ্ঠানগুলো জানাবে। তাহলে দাতা সংস্থা থেকে লোন নিয়ে কাজ করার প্রয়োজন হবে না। এছাড়া নদী থেকে বালু উত্তোলনের ফলে নদীর ইকোসিস্টেমের ওপর কি ধরনের প্রভাব পড়বে এবং ওই বিষয়ে এড়িয়ে চলার ক্ষেত্রে এই প্রতিষ্ঠানকে কাজ করতে বলা হয়েছে।তিনি বলেন, কিছু কিছু গবেষণা সরকারি পর্যায়ে হয়ে থাকে। সে গবেষণাগুলো দেখা যায় বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা অন্যান্য সংস্থা দিয়ে করানো হয়ে থাকে। কিন্তু আজ সিদ্ধান্ত হয়েছে যেখানে এই প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা রয়েছে সেখানে কাজ করতে বলা হবে এবং সেটা সরকারি যে সংস্থা যাকেই চুক্তি দেয়া হোক না কেন সে বিষয় চুক্তিপত্রে লেখা থাকবে।
অপরদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও সাত কলেজের সহিংসতার ক্ষেত্রে সকলকে ধৈর্য্য ধরার জন্য উদ্বাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। এ সহিংসতার পেছনে কোনো উস্কানি রয়েছে কি-না সে বিষয়ে সরকারি সংস্থাগুলো খতিয়ে দেখছেন বলে জানান।
সাংবাদিকদের সাথে প্রশ্নোত্তর শেষে প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম পরিদর্শন করেন তিনি। এ সময় প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক এস এম আবু হুরায়রা, পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক তাহমিদুল ইসলাম, নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ ইউসুফ, ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান মোল্লা ও অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
<p>সম্পাদক ও প্রকাশকঃ</p><p>নাজমুল হুদা বাশার </p><p>০১৭১১২৫৩৬৭৬</p><p><br></p>
© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫