স্টাফ রিপোর্টার
শিশুটির বাবা নাঈম মিয়াকে আটক করেছে পুলিশ।
(২২ ফেব্রুয়ারি) শনিবার দুপুরে উপজেলা সদরের উত্তরপাড়া গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। অভিযুক্তকারী ক্বারি আবু নাঈম উপজেলা সদরের উত্তর পাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল খালেক এর ছেলে। তিনি ঢাকায় একটি মসজিদে ইমামতি করেন। নিহত শিশু আব্দুল্লাহ রাফসান (১৬ মাস) আবু নাঈমের তৃতীয় সন্তান।
ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে শিশুর রাফসানের মা সাহিদা আক্তার জানান, রাফসানের জন্মের পর থেকেই তার বাবা তাকে নিজের সন্তান হিসেবে মেনে নিতে পারছিল না। এ বিষয়টি নিয়ে তাদের সাংসারিক জীবনে দীর্ঘদিন ধরে ঝামেলা চলছিল। শনিবার সকাল ৯ টার দিকে অসুস্থ রাফসানকে চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা জেলা শহরে নিয়ে যেতে চায় তার বাবা নাইম। তখন শিশুটির মা তাদের সঙ্গে যেতে চাইলে বাধা দেন তার স্বামী। বিষয়টিকে খুব ভালোভাবে নিতে পারেনি তার মা শাহীদা আক্তার। তাই নিজে যেতে না পারায় স্বামীকে সঙ্গে তার বড় ছেলে ১২ বছর বয়সী আনাস কে পাঠায় সফরসঙ্গী হিসেবে। অল্প কিছুক্ষণ সময়ের মধ্যেই তার বড় ছেলে বাড়ি চলে আসে।
পরে বাড়ি ফিরে বড় ছেলে আনাস জানায় তার বাবা তাকে মুরাদনগর সদরের বাজারে রেখে ছোট ভাইকে নিয়ে একা চলে গেছে কুমিল্লায়। একপর্যায়ে বেলা বারোটার দিকে মৃত অবস্থায় রাফসানকে নিয়ে বাড়ি ফিরে তার বাবা। সে জানাই কুমিল্লা শহরে যাবার পথে কংশনগর এলাকায় গাড়ির ভিতরেই অসুস্থতার কারণে শিশু রাফসানের মৃত্যুবরণ করেন। তবে মা চাহিদা আক্তার দাবি দীর্ঘদিন ধরে তার স্বামী হুমকি দিয়ে আসছিল সন্তানটিকে মেরে ফেলার। অসুস্থতা জনিত কারণে নয় তার স্বামী শিশুর আফসানকে গলা টিপে হত্যা করেছে।
শিশুর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় শিশুটির বাবা নাঈম পিয়াকে আটক করা হয়েছে। শিশু রাফসানের লাশ উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তে রিপোর্ট অনুযায়ী আইনক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।
<p>সম্পাদক ও প্রকাশকঃ</p><p>নাজমুল হুদা বাশার </p><p>০১৭১১২৫৩৬৭৬</p><p><br></p>
© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫