বিশেষ প্রতিবেদকঃ
রেজাউল করিম
ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জনগনের চিকিৎসার জন্য সরকারী পরীক্ষা নিরীক্ষার ব্যাবস্থা থাকা সত্বেও সরকারী অনেক অসাধু কর্মচারী ও দালালেরা রোগীর স্বজনকে ফুঁসলিয়ে নিয়ে যান বিভিন্ন বেসরকারী হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে।বাইরে কেউ দালালী করলে শোভা পায় কিন্তু খোদ সরকারী কর্মচারীদের কি সেটা শোভা পায়।।বলছি ফরিদপুর মেডিকেল হাসপাতালের সাতকাহনের- মামুলি ছোটগল্প নিয়ে-এবারের নায়কের নাম পিসি মাস্টার সাইফুল।তিনি যেভাবেই হোক সরকারী হাসপাতালে চাকরি করেন কিন্তু মুমূর্ষু অসহায় রোগীর মাধ্যমে পরিপূর্ণ সেবা দান করেন বিভিন্ন প্রাইভেট হাসপাতালে কারন - ৫০০০ টাকার টেস্ট করাতে পারলে তার নিজের পকেটেই ঢোকে ২৩০০ টাকা।আগে অবশ্য আরও বেশী ছিলো কারন ডাক্তার হিসেবে সার্জারীর বিভাগের উৎকোচ বেশ ভালোই ছিলো,এরকম কাজে ইমার্জেন্সি ভাবে প্রতি কাজে লোক বুঝে দু,তিন বা পাঁচ হাজার টাকা নিতেন।কেউ কিছু বললে স্হানীয় প্রভাবশালী বা বিভিন্ন দলের পরিচিত কাউকে ব্যাবহার করে পার পেয়ে যান।
তিনি সাবেক সার্জারী ডাক্তার থেকে এখন ওয়ার্ড বয়,শুধুমাত্র ওয়ার্ড বয় নয় বর্তমানে তিনি পিসি মাস্টার সাইফুল নামে পরিচিত।তার একটি শক্ত সিন্ডিকেট আছে দীর্ঘবছর প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়মিত ভাবে রোগী দিয়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ কামিয়েছেন ও ফরিদপুর ও আলফাডাঙ্গা বাড়ি মার্কেট জমি ও প্রাইভেট কার সহ অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছেন।এতো মাত্র এক সাইফুল,এমন অনেক পুরুষ ও নারী অর্থ পিপাসুর বিচরণের এক অভয়নগর এই ফরিদপুর মেডিকেল হাসপাতাল।যারা এই সরকারী সেবা প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন অথচ নামমাত্র সময় দেন জনগণের সরকারী সেবায়।
দূর্নীতির এক অভয়নগর তাদের ব্যাপারে কোন কথা বললে ঝামেলা, এমনকি জীবনও যেতে পারে আবার মামলা হামলা সহ সাথে ফ্রী পাবেন সামাজিক মর্যাদার করুন হানিকর ব্যাবস্হা পত্র,মনে হচ্ছে এই ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল হচ্ছে কামরুপকামাক্ষা চেপে বসেছে।
আপনি এই সাতকাহনের ছোটগল্প পিসি মাস্টার সাইফুলের গল্প পড়ে আর কতটুকু বুঝতে পারবেন।এই পিসি মাস্টার সাইফুল নিজ নাম ছাড়াও নামে বেনামে বহু সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। এই পিসি মাস্টার সাইফুলের ব্যাপারে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী যদি একটু দৃষ্টি গোচর হন তবেই বেড়িয়ে আসবে থলের বিড়াল।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ নাজমুল হুদা বাশার ০১৭১১২৫৩৬৭৬
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ রেজাউল করিম ০১৭১১৯২৯৪৭৩
© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫