এম বাদল খন্দকার ( ষ্টাফ রিপোর্টায়) ব্রাক্ষণবাড়ীয়া।

নাসির উপজেলার ধানতুলিয়ায় পুকুরে বিষ প্রয়োগে মাছ নিধন মামলায় মন্নাফ মিয়াকে গ্রেফতার করেছেন নাসিরনগর থানা পুলিশ।
গতকাল ১ মে উপজেলার চাতলপাড় পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মো: রফিকুল ইসলাম সকালে ধানতুলিয়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে তার নিজ বাড়ী থেকে মন্নাফ মিয়াকে গ্রেফতার করেন।
জানা যায়, গত ১৬ এপ্রিল দিবাগত রাতে উপজেলার চাতলপাড় ইউনিয়নের ধানতুলিয়া গ্রামের জামাল খানের পুকুরে এ ঘটনা ঘটে। বিষ প্রয়োগের ফলে পুকুরে প্রায় ৪ লাখ টাকার মাছ মরে ক্ষতি হয়েছে মর্মে জামাল খান বাদী হয়ে একই গ্রামের এমদাদ খানের ছেলে সাবির ভূইয়াসহ ১০ জনকে আসামি করে নাসিরনগর থানায় অভিযোগ করা হয়।
অভিযোগ সূত্রে প্রকাশ, সাবির ভূইয়া গংরা নামকারা চোরছিনতাইকারী ও সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক।বিবাদীগন এলাকায় চুরি ছিনতাই ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করিয়া জনমনে আতংক সৃষ্টি করিয়া আসিতেছে। পুকুরটি পৈত্রিক ওয়ারিশ সূত্রে অংশিদার থাকিয়া জামালখা সহ আরো দুইজন মিলে সমস্ত পুকুরটি চাষাবাদের জন্য অন্যান্য অংশিদারদের নিকট হইতে তিন বছরের মেয়াদে লীজ গ্রহন করিয়া বিভিন্ন জাতের মাছ চাষাবাদ করিয়া আসিতেছে।
ঘটনার ৪/৫দিন আগে পুকুর হইতে মাছ ধরিয়া পুকুর পাড়ে তুলিয়া বিক্রি করার সময় সাবির ভূইয়ারা দেশীয় মরনাস্ত্র সহ জামাল খানের পুকুর পাড়ে আসিয়া প্রাণে মারার হুমকি ও ভয়ভীতি দেখাইয়া ৪টি মাছ ভর্তি ক্যারেট ও ৪টি মাছ ভর্তি কাটা ড্রামে থাকা প্রায় ১মন মাছ মূল্য অনুমান- ৭৫,০০০/ টাকা নিয়ে যায়। উক্ত বিষয়ে জামাল খা'র ছেলে বাদী হয়ে নাসিরনগর থানায় আরেকটি অভিযোগ দায়ের করেন। উক্ত অভিযোগ চাতলপাড় তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করেন। এতে সাবির ভূইয়ারা আরো ক্ষিপ্ত হয়ে পুকুরের সমস্ত মাছ শেষ করিয়া দেওয়ার হুমকি দেয়। এরই ধারাবাহিকতায় ভোর রাত ৪ টায় পুকুরে আসিয়া ছোট ছোট ড্রামে করে বিষ মিশ্রিত করিয়া আনিয়া পুকুরে মাছ মারার বিষ প্রয়োগ করে। সাথে সাথে সমস্ত মাছ লাফালাফি শুরু করে এবং বেড় জাল দিয়ে পুকুর হইতে প্রায়-৮০,০০০/ টাকার বিভিন্ন জাতের মাছ খাচায় ভরিয়া আরো মাছ ধরতে থাকে। মাছ ধরার শব্দ শুনিয়া ঘর থেকে বাহির হয়ে কয়েকজন লোক সাথে নিয়ে পুকুর পাড়ে গিয়ে বিদ্যুৎ এর আলোতে সাবির ভূইয়াদের চিনতে পারিয়া আটক করার চেষ্টা করিলে, সেই সময় তাদের সাথে থাকা দেশীয় মরনাস্ত্রের ভয় দেখাইয়া মাছের খাচা সহ নিয়ে যাওয়ার সময় হুমকি দিয়ে যায় যে উক্ত বিষয় নিয়ে মামলা মোকদ্দমা করিলে আবার ও সুযোগমত পাইলে জামাল খানের লোকদের প্রানে মারিয়া লাশ গুম করিয়া ফেলার হুমকি দেয়।
এ ব্যাপারে চাতলপাড় পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো: রফিকুল ইসলাম বলেন আসামী মন্নাফ মিয়াকে গ্রেফতার করে আদালতে পাটানো হয়েছে।