রেজাউল করিম- ফরিদপুর
ফরিদপুর সদর উপজেলার গেরদা ইউনিয়নের নিখুরদী গ্রামের প্রবাসী আরশাদ চোকদারের স্ত্রী, প্রবাসী স্বামী এবং চার বছরের কন্যা শিশু আফিয়া আক্তার কে রেখে পাঁচভরি স্বর্ণ অলংকার ও নগদ ৯৫ হাজার টাকা নিয়ে প্রেমিকের হাত ধরে পালিয়ে গেছেন শিউলি। শিশু আফিয়ার দেওয়া তথ্যমতে শিউলির খালাতো ভাই মোঃ করিমের সহিত চলে গেছেন। ২০ ফেব্রুয়ারি-২৫ তারিখ এ ব্যাপারে শিউলির স্বামী বলেন- বর্তমান আমি অসহায় ভাবে মানবতার জীবন যাপন করছি এই চার বছরের বাচ্চা রেখে আমি কোন কাজকর্ম করতে পারছি না আফিয়া শুধু ওর মায়ের জন্য কান্নাকাটি করে রাত দিন ভর। এহেন দশা থেকে মুক্তি চান বলে জানান। তিনি আরো বলেন আমি দীর্ঘ আট বছর প্রবাসে ছিলাম আমার স্ত্রী ও কন্যার জন্য অনেক স্বর্ণ অলংকার বানিয়েছি শিউলি সব স্বর্ণ নিয়ে পালিয়ে গেছে এ সময় আরশাদ চোকদার বলেন প্রতিদিনের ন্যায় আমি কাজে যাই হঠাৎ করে আমার স্ত্রী সন্তানকে না পেয়ে আমার বাচ্চা যে মাদ্রাসায় লেখাপড়া করে আমি সেখানে খোঁজখবর নিয়ে পাইনি। পরবর্তীতে আমার নিকট আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে অনেক খোঁজাখুঁজি করেছি কোথাও না পেয়ে আমার শ্বশুর গফুর শেখের সহিত যোগাযোগ করা হলে আমার শশুর আমাকে বলেন একটু অপেক্ষা করো আমি এর একটা সমাধান দিচ্ছি, কিন্তু আজ দেই কালকেই করে কোন সমাধান দেয়নি। উল্লেখ থাকে যে, আমার কন্যা সন্তানকে আমার স্ত্রী আমার বাড়ি থেকে স্বর্ণ ও টাকা চুরি করে নিয়ে যাওয়ার প্রায় ১৫ থেকে ২০ দিন পরে আমার কন্যা যে মাদ্রাসায় পড়াশোনা করত সেখানে মেয়েকে বলে তুমি এখানে একটু বসো আমি কিছুক্ষণ পরে বাড়িতে নিয়ে যাব তোমাকে এ কথা বলে আমার চার বছরের কন্যা আফিয়াকে মাদ্রাসার সামনে রেখে পালিয়ে যায়। এ ব্যাপারে প্রবাসী আরশাদ চোকদারের তথ্যের ভিত্তিতে দিতে পশ্চিম গঙ্গা বড়দি শিউলির ঘটনা সম্পর্কে জানতে গেলে গফুর শেখকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে মুঠো ফোনে গফুরের সাথে যোগাযোগ করা হলে তার মেয়েকে সে নিজেই অস্বীকার করে এক পর্যায়ে মেয়ের অতিষ্ঠতার কথা বলেন- ইতিপূর্বে বেশ কয়েকবার জামাই বাড়ি থেকে আমার মেয়ে শিউলি পালিয়ে গেছে। পরবর্তীতে আমি অনেক খোঁজাখুঁজি করে মেয়েকে বুঝিয়ে জামাই বাড়িতে দিয়ে এসেছি। ও আমার মান সম্মান সব নষ্ট করে ধূলিসাৎ করে দিয়েছে এমন মেয়েকে আমি পরিচয় দিতে চাই না আমি সুন্দর একটি আত্মীয়তা দেখে আত্মীয়তা করেছিলাম ওর ওখানে কোন কিছুর অভাব ছিল না ও নিজেই ওর সুখের ঘর একটি চার বছরের আমার নাতিকে রেখে যে ধরনের রং তামাশা করছে এটা খুব লজ্জা জনক বলে সাংবাদিকদের জানান। এ সময় প্রবাসী আরসাদ আক্ষেপের সহিত বলেন আমার স্ত্রী আমাকে পথের ভিখারী বানিয়ে আমাকে ফেলে চলে গেছেন এতে করে একদিকে আমার চার বছরের শিশু কন্যাকে আমার দেখভাল করতে হয় ও সারাদিন রাত ওর মায়ের জন্য কান্নাকাটি করে আমি এ অবস্থায় মুখে দুমুঠো ভাত দেওয়ার জন্য কোন কাজকর্ম যেতে পারি না আরেকদিকে আমি একজন রেমিটেন্স যোদ্ধা তিলে তিলে অনেক কষ্ট করে আমার স্ত্রী এবং কন্যা সন্তানের জন্য ৫ ভরি স্বর্ণালঙ্কার বানিয়ে ছিলাম এবং ঘরে রক্ষিত ছিল ৯৫ হাজার টাকা ওসব নিয়ে গেছে আমাকে নিঃস্ব করে ফেলে গেছে। আমি এর একটি দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি যাতে আমার মত প্রবাসী রেমিট্যান্স যোদ্ধা ভাইয়েরা কেউ যেন এমন ভুক্তভোগী আর না হয়।
<p>সম্পাদক ও প্রকাশকঃ</p><p>নাজমুল হুদা বাশার </p><p>০১৭১১২৫৩৬৭৬</p><p><br></p>
© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫