রেজাউল করিম বিশেষ প্রতিবেদকঃ ফরিদপুর
ফরিদপুর সদর উপজেলার পশ্চিম গঙ্গাবরদী মোঃ কালাচান শেখ নিজ শয়ন কক্ষে ১৪ মে বিকাল আনুমানিক ৪ ঘটিকার সময় ঘরের বাঁশের আরার সাথে ওরনা জাতীয় কাপড় গলায় দিয়ে আত্মহত্যা করেন। এ ব্যাপারে নিহত কালা চান এর ভাই শহিদুল বলেন- আমার ভাইয়ের শশুর বাড়ীর লোকজনেরা প্রায় আমার ভাইকে মারধর করত। পারিবারিক ঝামেলার কারনে আমার ভাই বিভিন্ন সময় অপমান অপদস্থ হতো বলে জানান। এবিষয়ে নিহতের বোন বলেন আমার ভাইকে ফুসলিয়ে ফাসলিয়ে সমিতি থেকে দেড় লক্ষ টাকা লোন উঠিয়ে আমার ভাইয়ের শশুরকে দেন। আমার ভাই সমিতির কিস্তির টাকা চাইলে ভাইকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ মারধর করতো বলে জানান। কালাচান আত্মহত্যা করলে বাড়ীর লোকের চিৎকার চেঁচামেচির শব্দ শুনে স্থানীয়রা দৌড়ে গিয়ে তাকে আরা থেকে ওরনা কেটে নামিয়ে ফরিদপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। প্রথমে হাসপাতালে স্ত্রী হুমাইয়া আক্তার আসলেও ডাক্তাররা যখন কালাচানের মৃত্যু ঘোষণা করেন,এই খবর শুনে হাসপাতাল থেকে দ্রুত পালিয়ে যায় হুমাইয়া আক্তার। এলাকার অনেকের সাথে কথা বলে জানা যায় প্রায় সময় কালাচাঁন ও তার শ্বশুর বাড়ির লোকজনেরা তুচ্ছ ঘটনা কে কেন্দ্র করে ঝগড়াবিবাদে জড়িয়ে পড়তো। কালাচানের শ্বশুরবাড়ি ও তার বাড়ি একই গ্রামে হওয়ায় এই ধরনের ঝগড়াঝাঁটি লেগে থাকতো। কালাচান পেশায় একজন রিক্সা চালক ছিলেন তাদের ঘরে চার বছরের হাবিবা নামে এক কন্যা সন্তান রয়েছে। নিহত কালাচানের একাধিক আত্মীয়-স্বজনেরা হুমাইয়ার বাবা মোঃ লতিফ ও তার চাচা মানসিক নির্যাতন করতো বলে জানান। কালাচানের শশুর বাড়ীর কাউকে হাসপাতাল দেখা যায়নি। নিহতের মা ও বাবা বলেন আমার ছেলেকে তারা মানষিক ভাবে প্রতিনিয়ত চাপ দেয়ার কারনেই আজ তাকে জীবন দিতে হলো,সুস্থ তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।এব্যাপারে কোতোয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আসাদউজ্জামান এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাংবাদিকদের জানান আপাততো এ ব্যাপারে কিছু বলা যাচ্ছে না ময়না তদন্ত রিপোর্ট হাতে পেলে জানা যাবে এই মৃত্যু সম্পর্কে।
<p>সম্পাদক ও প্রকাশকঃ</p><p>নাজমুল হুদা বাশার </p><p>০১৭১১২৫৩৬৭৬</p><p><br></p>
© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫