ঢাকা ০৯:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ৩০ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ফরিদপুরে মহাবতারী শ্রী শ্রী প্রভু জগদ্বন্ধু সুন্দরের ১৫৫ তম শুভ আবির্ভাব উৎসব সম্পন্ন ফরিদপুরে মহাবতারী শ্রী শ্রী প্রভু জগদ্বন্ধু সুন্দরের ১৫৫ তম শুভ আবির্ভাব উৎসব সম্পন্ন ফরিদপুরে বিক্রি করে দেওয়া শিশু তানহাকে উদ্ধার তীব্র গরমে তরুণ প্রজন্ম সংগঠন পক্ষ থেকে ঠান্ডা শরবত বিতরণ নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি দেলোয়ার হোসেন গ্রেফতার। স্টাফ রিপোর্টার আওয়ামী লীগের দোষর সাংবাদিক এখন নব্য বিএনপি আওয়ামী লীগের দোষর সাংবাদিক এখন নব্য বিএনপি নিজস্ব প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগের দোষর ও সাবেক ঢাকা ১৮ আসনের এমপি হাবিব হাসানের পিআরও বদরুল আলম এখন বিএনপি মনা সাংবাদিক। আবার জায়ামতের কাছে নিজেকে জামায়াত পন্থী সাংবাদিক বলে ও বিভিন্ন সুবিধা আদায় করে।এ যেন এক অলৌকিক ক্ষমতায় নেতাদের কাছে নিজেকে জাহির করাই তার কাজ।বিগত দিনে ভালো কোন হাউজে চাকরির অভিজ্ঞতা না থাকলে ও নিজেকে ফেসবুকে বড় সাংবাদিক পরিচয় দিতে সব সময় আছে সরব উপস্থিতি। উত্তরা প্রেসক্লাব কে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে তার পথচলা।নিজের পছন্দ করা কিছু সাংবাদিক কে ক্লাবের সদস্য বানিয়ে সে নীরব চাঁদাবাজি করে আসছে বলে ও অভিযোগ পাওয়া গেছে।বিগত ১৭ বছরে আওয়ামী লীগের শাসনামলে এমপি হাবিব হাসানের স্বঘোষিত পিআরও হিসেবে নিজেকে জাহির করতেন। তাই বিএনপি এবং অন্যান্য দলের লোকজন তার ভয়ে আতঙ্কিত থাকতো।বিগত দিনে ক্লাবের নাম ব্যবহার করে তার লালিত বাহিনী দিয়ে চাঁদা আদায় করতো।টাকা না দিলে ফেসবুক ভুয়া পোস্ট করে নেতাকর্মীদের মানহানী করতো।এবং বিভিন্ন সময় এমপি হাবিব হাসান কে ব্যবহার করে জেল খানায় পাঠাতো এই বদরুল আলম।সম্প্রতি তার একটি ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়।যেখানে বদরুল আলম বলেন’ বঙ্গবন্ধু বিহীন বাংলাদেশ চিন্তা করা যাবে না ‘। গত ১৫ ফেব্রুয়ারী উত্তরা প্রেসক্লাব নির্বাচন হয়ে গেল।সেখানে সভাপতি পদে আওয়ামী লীগ সক্রিয় সদস্য আলাউদ্দিন আল আজাদ সভাপতি হয়, যার মুল কারিগর ছিলেন বদরুল আলম মজুমদার। তিনি স্থানীয় আওয়ামিলীগ নেতাদের থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে এই জালিয়াতি করেছে বলে জানা গেছে।গত ৫ ই আগস্টের পর আলাউদ্দিন আল আজাদ তার ফেসবুকে পোস্টে আওয়ামী লীগের পক্ষে নিয়মিত পোস্ট করেন যা সকলের নজরে আসে। পরে সে পোস্টগুলো ডিলেট করে দেয় আলাউদ্দিন আল আজাদ। কিন্তু কিছু জ্বালাময়ী পোস্ট এখনো তার ফেসবুকে দেখা যাচ্ছে। জানাগেছে এর অন্তরালে কাজ করেছে উত্তরা প্রেস ক্লাবের সাবেক স্বঘোষিত সভাপতি বদরুল আলম মজুমদার। তার কারনে উত্তরা সাংবাদিকরা বিভিন্ন হামলা মামলা শিকার হয়েছে। অনেকে জেল খেটেছে। তার মতের অমিল হলেই মামলার ভয় দেখিয়ে সুবিধা নিতো বদরুল।সর্বশেষ তার আক্রোশের শিকার মানবকন্ঠের সাংবাদিক ও উত্তরা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি রাসেল খান।এছাড়া বিএনপির অনেক হেবিয়েট নেতাদের অভিযোগ ক্লাব ঘরের কথা বলে এ পর্যন্ত১ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বদরুল।ক্লাব ঘর তার একটি পুঁজি হিসেবে কাজ করছে।ইচ্ছে করলে সে ক্লাব ঘর নির্মাণ কাজ শেষ করতে পারতো কিন্তু সে তা করেনি।বরং ক্লাব ঘর দেখিয়ে সে নিয়মিত চাঁদা আদায় করছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।বদরুল এর অপ-সাংবাদিকতা থেকে মুক্তি চায় নেতাকর্মীরা। উত্তরা প্রেসক্লাব সংগঠন নিয়ম অনুযায়ী একজন সভাপতি ২ বারের বেশি থাকতে পারবে না।সে কারনে নিজের জন্য একটি পদ তৈরি করেন বদরুল।সে বর্তমানে সিনিয়র সহ সভাপতি আর সভাপতি আওয়ামী লীগের সক্রিয় সদস্য আলাউদ্দিন আল আজাদ। এবিষয়ে উত্তরা ছাত্র আন্দোলনের প্রথম সারির নেতাকর্মীরা বিষয়টি মেনে নিতে পারছেন না ফরিদপুরে প্রবাসীর- স্ত্রী শিশু সন্তান রেখে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা নিয়ে প্রেমিকের প্রেমেমগ্ধ হয়ে পালালেন শিউলি ফরিদপুরে প্রবাসীর- স্ত্রী শিশু সন্তান রেখে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা নিয়ে প্রেমিকের প্রেমেমগ্ধ হয়ে পালালেন শিউলি নড়াইলে সেনাবাহিনীর অভিযানে একটি ওয়ানশুটারগান ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধারসহ আটক ৩
সংবাদ শিরোনাম ::
ফরিদপুরে মহাবতারী শ্রী শ্রী প্রভু জগদ্বন্ধু সুন্দরের ১৫৫ তম শুভ আবির্ভাব উৎসব সম্পন্ন ফরিদপুরে মহাবতারী শ্রী শ্রী প্রভু জগদ্বন্ধু সুন্দরের ১৫৫ তম শুভ আবির্ভাব উৎসব সম্পন্ন ফরিদপুরে বিক্রি করে দেওয়া শিশু তানহাকে উদ্ধার তীব্র গরমে তরুণ প্রজন্ম সংগঠন পক্ষ থেকে ঠান্ডা শরবত বিতরণ নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি দেলোয়ার হোসেন গ্রেফতার। স্টাফ রিপোর্টার আওয়ামী লীগের দোষর সাংবাদিক এখন নব্য বিএনপি আওয়ামী লীগের দোষর সাংবাদিক এখন নব্য বিএনপি নিজস্ব প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগের দোষর ও সাবেক ঢাকা ১৮ আসনের এমপি হাবিব হাসানের পিআরও বদরুল আলম এখন বিএনপি মনা সাংবাদিক। আবার জায়ামতের কাছে নিজেকে জামায়াত পন্থী সাংবাদিক বলে ও বিভিন্ন সুবিধা আদায় করে।এ যেন এক অলৌকিক ক্ষমতায় নেতাদের কাছে নিজেকে জাহির করাই তার কাজ।বিগত দিনে ভালো কোন হাউজে চাকরির অভিজ্ঞতা না থাকলে ও নিজেকে ফেসবুকে বড় সাংবাদিক পরিচয় দিতে সব সময় আছে সরব উপস্থিতি। উত্তরা প্রেসক্লাব কে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে তার পথচলা।নিজের পছন্দ করা কিছু সাংবাদিক কে ক্লাবের সদস্য বানিয়ে সে নীরব চাঁদাবাজি করে আসছে বলে ও অভিযোগ পাওয়া গেছে।বিগত ১৭ বছরে আওয়ামী লীগের শাসনামলে এমপি হাবিব হাসানের স্বঘোষিত পিআরও হিসেবে নিজেকে জাহির করতেন। তাই বিএনপি এবং অন্যান্য দলের লোকজন তার ভয়ে আতঙ্কিত থাকতো।বিগত দিনে ক্লাবের নাম ব্যবহার করে তার লালিত বাহিনী দিয়ে চাঁদা আদায় করতো।টাকা না দিলে ফেসবুক ভুয়া পোস্ট করে নেতাকর্মীদের মানহানী করতো।এবং বিভিন্ন সময় এমপি হাবিব হাসান কে ব্যবহার করে জেল খানায় পাঠাতো এই বদরুল আলম।সম্প্রতি তার একটি ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়।যেখানে বদরুল আলম বলেন’ বঙ্গবন্ধু বিহীন বাংলাদেশ চিন্তা করা যাবে না ‘। গত ১৫ ফেব্রুয়ারী উত্তরা প্রেসক্লাব নির্বাচন হয়ে গেল।সেখানে সভাপতি পদে আওয়ামী লীগ সক্রিয় সদস্য আলাউদ্দিন আল আজাদ সভাপতি হয়, যার মুল কারিগর ছিলেন বদরুল আলম মজুমদার। তিনি স্থানীয় আওয়ামিলীগ নেতাদের থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে এই জালিয়াতি করেছে বলে জানা গেছে।গত ৫ ই আগস্টের পর আলাউদ্দিন আল আজাদ তার ফেসবুকে পোস্টে আওয়ামী লীগের পক্ষে নিয়মিত পোস্ট করেন যা সকলের নজরে আসে। পরে সে পোস্টগুলো ডিলেট করে দেয় আলাউদ্দিন আল আজাদ। কিন্তু কিছু জ্বালাময়ী পোস্ট এখনো তার ফেসবুকে দেখা যাচ্ছে। জানাগেছে এর অন্তরালে কাজ করেছে উত্তরা প্রেস ক্লাবের সাবেক স্বঘোষিত সভাপতি বদরুল আলম মজুমদার। তার কারনে উত্তরা সাংবাদিকরা বিভিন্ন হামলা মামলা শিকার হয়েছে। অনেকে জেল খেটেছে। তার মতের অমিল হলেই মামলার ভয় দেখিয়ে সুবিধা নিতো বদরুল।সর্বশেষ তার আক্রোশের শিকার মানবকন্ঠের সাংবাদিক ও উত্তরা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি রাসেল খান।এছাড়া বিএনপির অনেক হেবিয়েট নেতাদের অভিযোগ ক্লাব ঘরের কথা বলে এ পর্যন্ত১ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বদরুল।ক্লাব ঘর তার একটি পুঁজি হিসেবে কাজ করছে।ইচ্ছে করলে সে ক্লাব ঘর নির্মাণ কাজ শেষ করতে পারতো কিন্তু সে তা করেনি।বরং ক্লাব ঘর দেখিয়ে সে নিয়মিত চাঁদা আদায় করছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।বদরুল এর অপ-সাংবাদিকতা থেকে মুক্তি চায় নেতাকর্মীরা। উত্তরা প্রেসক্লাব সংগঠন নিয়ম অনুযায়ী একজন সভাপতি ২ বারের বেশি থাকতে পারবে না।সে কারনে নিজের জন্য একটি পদ তৈরি করেন বদরুল।সে বর্তমানে সিনিয়র সহ সভাপতি আর সভাপতি আওয়ামী লীগের সক্রিয় সদস্য আলাউদ্দিন আল আজাদ। এবিষয়ে উত্তরা ছাত্র আন্দোলনের প্রথম সারির নেতাকর্মীরা বিষয়টি মেনে নিতে পারছেন না ফরিদপুরে প্রবাসীর- স্ত্রী শিশু সন্তান রেখে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা নিয়ে প্রেমিকের প্রেমেমগ্ধ হয়ে পালালেন শিউলি ফরিদপুরে প্রবাসীর- স্ত্রী শিশু সন্তান রেখে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা নিয়ে প্রেমিকের প্রেমেমগ্ধ হয়ে পালালেন শিউলি নড়াইলে সেনাবাহিনীর অভিযানে একটি ওয়ানশুটারগান ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধারসহ আটক ৩

ডিগবাজি দিয়েই চলেছেন শাহ জাফর ৮ বার দল পরিবর্তন

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৩:১৮:১৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫ ২৬ বার পড়া হয়েছে
আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ডিগবাজি দিয়েই চলেছেন শাহ জাফর ৮ বার দল পরিবর্তন

সেক মোহাম্মদ আফজাল 

বিশেষ প্রতিবেদক 

ফরিদপুর – ১ (বোয়ালমারী, আলফাডাঙ্গা, মধুখালী)  আসনের  সাবেক সংসদ সদস্য  শাহ মোহাম্মদ আবু জাফর একের পর এক দল পরিবর্তন করে চলেছেন  সাবেক সংসদ সদস্য শাহ মোহাম্মদ আবু জাফর। এ নিয়ে তিনি আটবার দল পরিবর্তন করলেন।সর্বশেষ বিএনএম এর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের থেকে পদত্যাগ করে জনতার পার্টি বাংলাদেশে যোগদান করেন তিনি।শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) রাজধানী ঢাকার পাঁচ তারকা হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চনের নেতৃত্বে জনতা পার্টি বাংলাদেশে যোগ দেন শাহ্ মোহাম্মদ আবু জাফর।তাকে পার্টির উপদেষ্টা পদ দেওয়া হয়েছে।দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার সরাসরি সহযোগিতায় গঠিত বিএনএম-এ যোগ দিয়ে নোঙর মার্কা প্রতীকে অংশ নেন শাহ্ মোহাম্মদ আবু জাফর।কিন্তু বিপুল ভোটে পরাজিত শুধু নন তার জামানতও বাজেয়াপ্ত হয় এবং তিনি তৃতীয় স্থান পান। বিএনএমে যোগ দিতে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্যপদ ছাড়েন তিনি।ওই সময় বিএনপি নেতৃত্বের সমালোচনা করে নেতিবাচক অনেক মন্তব্যও করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে শাহ্ মোহাম্মদ আবু জাফর সুনাম কুড়ালেও বার বার দল পরিবর্তন করে তিনি ডিগবাজ হিসেবেই পরিচিত। আওয়ামী লীগের রাজনীতি দিয়ে শুরু করে পরবর্তীতে আব্দুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে বাকশাল, এরপরে বাকশালের সরদার আমজাদ গ্রুপে যোগ দেন শাহ জাফর। ১৯৭৯ ও ১৯৮৬ সালে নৌকা মার্কা নিয়ে এমপি হন। নৌকা মার্কার এমপি এরশাদের নেতৃত্বে জাতীয় পার্টিতে যোগ দিয়ে ১৯৮৮ সালের ভোটারবিহীন নির্বাচনেও এমপি হয়েছেন শাহ্ জাফর। তিনি জাতীয় পার্টিতে পর্যায়ক্রমে সাংগঠনিক সম্পাদক, ভাইস চেয়ারম্যান ও প্রেসিডিয়াম সদস্যদের দায়িত্বও পালন করেন। ছিলেন জাতীয় শ্রমিক পার্টির সভাপতি। এরপর জাতীয় পার্টি নাজিউর এ যোগ দেন এবং ২০০১ সালের জাতীয় নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে ফরিদপুর-১ আসনে নির্বাচন করে পরাজিত হন।  নির্বাচনের পর জাতীয় পার্টি ছেড়ে যোগ দেন বিএনপিতে। ২০০৫ সালে উপ-নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে অল্প কিছুদিনের জন্য এমপি নির্বাচিত হন শাহ জাফর । ১/১১ তে মান্নান ভূঁইয়ার নেতৃত্বে বিএনপির সংস্কারপন্থিদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত হন। ২০০৮ ও ২০১৮ তেও ফরিদপুর-১ আসনে বিএনপির প্রার্থী ছিলেন শাহ্ জাফর। বিএনপি তাকে জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্যও করে। তবে ২০২৩ সালে বিএনপি ছেড়ে দেন শাহ্ জাফর। বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট মুভমেন্ট-এমবিএম এ যোগ দেন এবং সর্বশেষ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুর-১ আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ।জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি যখন ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারকে সহায়তাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দাবি জানাচ্ছে তখন নতুন নতুন রাজনৈতিক দলে যোগ দিয়ে ফ্যাসিস্টের সহায়তাকারীর পুনর্বাসন বিস্ময়কর !

 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

আওয়ামী লীগের দোষর সাংবাদিক এখন নব্য বিএনপি নিজস্ব প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগের দোষর ও সাবেক ঢাকা ১৮ আসনের এমপি হাবিব হাসানের পিআরও বদরুল আলম এখন বিএনপি মনা সাংবাদিক। আবার জায়ামতের কাছে নিজেকে জামায়াত পন্থী সাংবাদিক বলে ও বিভিন্ন সুবিধা আদায় করে।এ যেন এক অলৌকিক ক্ষমতায় নেতাদের কাছে নিজেকে জাহির করাই তার কাজ।বিগত দিনে ভালো কোন হাউজে চাকরির অভিজ্ঞতা না থাকলে ও নিজেকে ফেসবুকে বড় সাংবাদিক পরিচয় দিতে সব সময় আছে সরব উপস্থিতি। উত্তরা প্রেসক্লাব কে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে তার পথচলা।নিজের পছন্দ করা কিছু সাংবাদিক কে ক্লাবের সদস্য বানিয়ে সে নীরব চাঁদাবাজি করে আসছে বলে ও অভিযোগ পাওয়া গেছে।বিগত ১৭ বছরে আওয়ামী লীগের শাসনামলে এমপি হাবিব হাসানের স্বঘোষিত পিআরও হিসেবে নিজেকে জাহির করতেন। তাই বিএনপি এবং অন্যান্য দলের লোকজন তার ভয়ে আতঙ্কিত থাকতো।বিগত দিনে ক্লাবের নাম ব্যবহার করে তার লালিত বাহিনী দিয়ে চাঁদা আদায় করতো।টাকা না দিলে ফেসবুক ভুয়া পোস্ট করে নেতাকর্মীদের মানহানী করতো।এবং বিভিন্ন সময় এমপি হাবিব হাসান কে ব্যবহার করে জেল খানায় পাঠাতো এই বদরুল আলম।সম্প্রতি তার একটি ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়।যেখানে বদরুল আলম বলেন’ বঙ্গবন্ধু বিহীন বাংলাদেশ চিন্তা করা যাবে না ‘। গত ১৫ ফেব্রুয়ারী উত্তরা প্রেসক্লাব নির্বাচন হয়ে গেল।সেখানে সভাপতি পদে আওয়ামী লীগ সক্রিয় সদস্য আলাউদ্দিন আল আজাদ সভাপতি হয়, যার মুল কারিগর ছিলেন বদরুল আলম মজুমদার। তিনি স্থানীয় আওয়ামিলীগ নেতাদের থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে এই জালিয়াতি করেছে বলে জানা গেছে।গত ৫ ই আগস্টের পর আলাউদ্দিন আল আজাদ তার ফেসবুকে পোস্টে আওয়ামী লীগের পক্ষে নিয়মিত পোস্ট করেন যা সকলের নজরে আসে। পরে সে পোস্টগুলো ডিলেট করে দেয় আলাউদ্দিন আল আজাদ। কিন্তু কিছু জ্বালাময়ী পোস্ট এখনো তার ফেসবুকে দেখা যাচ্ছে। জানাগেছে এর অন্তরালে কাজ করেছে উত্তরা প্রেস ক্লাবের সাবেক স্বঘোষিত সভাপতি বদরুল আলম মজুমদার। তার কারনে উত্তরা সাংবাদিকরা বিভিন্ন হামলা মামলা শিকার হয়েছে। অনেকে জেল খেটেছে। তার মতের অমিল হলেই মামলার ভয় দেখিয়ে সুবিধা নিতো বদরুল।সর্বশেষ তার আক্রোশের শিকার মানবকন্ঠের সাংবাদিক ও উত্তরা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি রাসেল খান।এছাড়া বিএনপির অনেক হেবিয়েট নেতাদের অভিযোগ ক্লাব ঘরের কথা বলে এ পর্যন্ত১ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বদরুল।ক্লাব ঘর তার একটি পুঁজি হিসেবে কাজ করছে।ইচ্ছে করলে সে ক্লাব ঘর নির্মাণ কাজ শেষ করতে পারতো কিন্তু সে তা করেনি।বরং ক্লাব ঘর দেখিয়ে সে নিয়মিত চাঁদা আদায় করছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।বদরুল এর অপ-সাংবাদিকতা থেকে মুক্তি চায় নেতাকর্মীরা। উত্তরা প্রেসক্লাব সংগঠন নিয়ম অনুযায়ী একজন সভাপতি ২ বারের বেশি থাকতে পারবে না।সে কারনে নিজের জন্য একটি পদ তৈরি করেন বদরুল।সে বর্তমানে সিনিয়র সহ সভাপতি আর সভাপতি আওয়ামী লীগের সক্রিয় সদস্য আলাউদ্দিন আল আজাদ। এবিষয়ে উত্তরা ছাত্র আন্দোলনের প্রথম সারির নেতাকর্মীরা বিষয়টি মেনে নিতে পারছেন না

ডিগবাজি দিয়েই চলেছেন শাহ জাফর ৮ বার দল পরিবর্তন

আপডেট সময় : ০৩:১৮:১৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫

ডিগবাজি দিয়েই চলেছেন শাহ জাফর ৮ বার দল পরিবর্তন

সেক মোহাম্মদ আফজাল 

বিশেষ প্রতিবেদক 

ফরিদপুর – ১ (বোয়ালমারী, আলফাডাঙ্গা, মধুখালী)  আসনের  সাবেক সংসদ সদস্য  শাহ মোহাম্মদ আবু জাফর একের পর এক দল পরিবর্তন করে চলেছেন  সাবেক সংসদ সদস্য শাহ মোহাম্মদ আবু জাফর। এ নিয়ে তিনি আটবার দল পরিবর্তন করলেন।সর্বশেষ বিএনএম এর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের থেকে পদত্যাগ করে জনতার পার্টি বাংলাদেশে যোগদান করেন তিনি।শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) রাজধানী ঢাকার পাঁচ তারকা হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চনের নেতৃত্বে জনতা পার্টি বাংলাদেশে যোগ দেন শাহ্ মোহাম্মদ আবু জাফর।তাকে পার্টির উপদেষ্টা পদ দেওয়া হয়েছে।দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার সরাসরি সহযোগিতায় গঠিত বিএনএম-এ যোগ দিয়ে নোঙর মার্কা প্রতীকে অংশ নেন শাহ্ মোহাম্মদ আবু জাফর।কিন্তু বিপুল ভোটে পরাজিত শুধু নন তার জামানতও বাজেয়াপ্ত হয় এবং তিনি তৃতীয় স্থান পান। বিএনএমে যোগ দিতে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্যপদ ছাড়েন তিনি।ওই সময় বিএনপি নেতৃত্বের সমালোচনা করে নেতিবাচক অনেক মন্তব্যও করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে শাহ্ মোহাম্মদ আবু জাফর সুনাম কুড়ালেও বার বার দল পরিবর্তন করে তিনি ডিগবাজ হিসেবেই পরিচিত। আওয়ামী লীগের রাজনীতি দিয়ে শুরু করে পরবর্তীতে আব্দুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে বাকশাল, এরপরে বাকশালের সরদার আমজাদ গ্রুপে যোগ দেন শাহ জাফর। ১৯৭৯ ও ১৯৮৬ সালে নৌকা মার্কা নিয়ে এমপি হন। নৌকা মার্কার এমপি এরশাদের নেতৃত্বে জাতীয় পার্টিতে যোগ দিয়ে ১৯৮৮ সালের ভোটারবিহীন নির্বাচনেও এমপি হয়েছেন শাহ্ জাফর। তিনি জাতীয় পার্টিতে পর্যায়ক্রমে সাংগঠনিক সম্পাদক, ভাইস চেয়ারম্যান ও প্রেসিডিয়াম সদস্যদের দায়িত্বও পালন করেন। ছিলেন জাতীয় শ্রমিক পার্টির সভাপতি। এরপর জাতীয় পার্টি নাজিউর এ যোগ দেন এবং ২০০১ সালের জাতীয় নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে ফরিদপুর-১ আসনে নির্বাচন করে পরাজিত হন।  নির্বাচনের পর জাতীয় পার্টি ছেড়ে যোগ দেন বিএনপিতে। ২০০৫ সালে উপ-নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে অল্প কিছুদিনের জন্য এমপি নির্বাচিত হন শাহ জাফর । ১/১১ তে মান্নান ভূঁইয়ার নেতৃত্বে বিএনপির সংস্কারপন্থিদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত হন। ২০০৮ ও ২০১৮ তেও ফরিদপুর-১ আসনে বিএনপির প্রার্থী ছিলেন শাহ্ জাফর। বিএনপি তাকে জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্যও করে। তবে ২০২৩ সালে বিএনপি ছেড়ে দেন শাহ্ জাফর। বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট মুভমেন্ট-এমবিএম এ যোগ দেন এবং সর্বশেষ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুর-১ আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ।জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি যখন ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারকে সহায়তাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দাবি জানাচ্ছে তখন নতুন নতুন রাজনৈতিক দলে যোগ দিয়ে ফ্যাসিস্টের সহায়তাকারীর পুনর্বাসন বিস্ময়কর !