কানাইপুরে চাঞ্চল্যকর ওবায়দুর হত্যা মামলায় আলতাফ চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার

- আপডেট সময় : ১১:৪১:১৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫ ৭৫ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ফরিদপুর অফিস থেকে প্রকাশিত
ফরিদপুর জেলার কোতয়ালী থানাধীন কানাইপুর ইউনিয়নের চাঞ্চল্যকর হত্যা কান্ডের দুজন এজাহার ভুক্ত আসামিকে গ্রেফতার করেছে। কানাইপুর ইউনিয়নের ঝাউখোলা গ্রামের ওবায়দুর খান (২৮)নামে এক যুবক কে নির্মমভাবে হত্যা করেছে, কানাইপুরে শীর্ষ সন্ত্রাসী খাজা বাহিনী। খাজার আপন বড় ভাই কানাইপুর ইউনিয়ন পরিষদের
চেয়ারম্যান শাহ মুহাম্মদ আলতাফ হুসাইন (৫৪) এবং জাহিদ শেখ (৪০)নামে অপর আসামি কে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব ১০।গ্রেফতারকৃত দুইজন চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ডের মামলার এজাহার ভুক্তআসামী।১৫-জানুয়ারী-২৫ বুধবার দিবাগত রাত ১২-৩০ মিনিটের সময় ঢাকার মিরপুরের একটি বাসা থেকে উন্নত প্রযুক্তির সহায়তায় তাঁদের গ্রেপ্তার করেন র্যাব-১০ ফরিদপুরের সদস্যরা।
ওবায়দুর হত্যাকান্ডে এ পর্যন্ত ৩ জন আসামিকে গ্রেফতার করা
হয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টার সময় গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-১০ ফরিদপুর ক্যাম্পের
স্কট কমান্ডার (সহকারী পুলিশ সুপার) মো. আলী আরশাদ। এসময় র্যাবের এই কর্মকর্তা জানান, হত্যাকাণ্ডের পর থেকে গ্রেফতারকৃত আসামিরা আত্মগোপনে চলে যান। উন্নত
প্রযুক্তির সহায়তায় বুধবার দিবাগত রাতে রাজধানীর মিরপুরের শিয়ালবাড়ি নামক
এলাকার একটি বাড়ি থেকে আত্মগোপনে থাকা চাঞ্চল্যকর ওবায়দুর হত্যাকাণ্ডের দুজন আসামি কে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামিদেরকে কোতয়ালী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানান। শুক্রবার বিকালে নিহত ওবায়দুর খানকে তুলে নিয়ে নির্যাতন করার অভিযোগ ওঠে আসে ৯ নং কানাইপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের আপন ছোট ভাই খায়রুজ্জামান খাজার নেতৃত্বে ১০/১৫ জনের একটি সঙ্ঘবদ্ধ সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে। এ সময় নিহত ওবায়দুরের দুই চোখে পেরেকে ঢুকিয়ে খোঁচানো হয় এবং একটি পায়ের রগ কেটে ফেলা হয়। প্রথমে স্থানীয়রা তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসলে তার অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার্ড করেন। ঢাকা মেডিকেলে নেওয়ার পথে মারা যান।
নিহত ওবায়দুর কানাইপুর ইউনিয়নের ঝাউখোলা গ্রামের মোঃ বিল্লাল খানের ছোট ছেলে
পেশায় তিনি ছিলেন একজন কাঠ মিস্ত্রির সহোযোগী।
এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পর শনিবার রাতে খায়রুজ্জামান খাজাকে প্রধান আসামি করে ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে
কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা করেন ওবায়দুরের বাবা মোঃ বিল্লাল খান। তবে এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে
রয়েছেন শীর্ষ সন্ত্রাসী খ্যাত খাইরুজ্জামান খাজা। তার বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় হত্যা,ডাকাতি, দস্যুতা , চাঁদাবাজি মামলা সহ একাধিক মামলা রয়েছে। নির্মমভাবে হত্যাকাণ্ডের শিকার ওবায়দুর খানের পাঁচ মাস বয়সের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে।