ফরিদপুর যৌনপল্লীর শিশুদের জন্মনিবন্ধনের জটিলতা আর থাকছে না -প্রশাসক

- আপডেট সময় : ০৫:১৭:১০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ৪২ বার পড়া হয়েছে

বিশেষ প্রতিবেদকঃ
রেজাউল করিম
ফরিদপুর জেলার রথখোলা যৌনপল্লীর শিশুদের এখন থেকে আর জন্মনিবন্ধনের জটিলতা থাকবে না বলে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ফরিদপুর পৌরসভার প্রশাসক চৌধুরী রওশন ইসলাম।
১৮ ফেব্রুয়ারী-২৫ তারিখ দুপুর সাড়ে ১২ টার সময় ফরিদপুর শহরের রথখোলা যৌনপল্লী পরিদর্শন এবং জন্ম নিবন্ধন কার্যক্রম পরিচালনা কার্যক্রম পরিদর্শন কালে ফরিদপুর পৌরসভার প্রশাসক একথা বলেন। এসময় রওশন ইসলাম বলেন, রথখোলা যৌনপল্লীর শিশুরা আমাদের দেশের নাগরিক তাদের অবস্থা সম্পর্কে আমাদের অবশ্যই দায়িত্ব রয়েছে।দেখা গেছে যৌনপল্লীর শিশুরা বিভিন্ন কারনে জন্ম নিবন্ধন পারতো না ও নানা ধরনের হয়রানির শিকার হতেন। এখন আমরা উদ্যোগ নিয়েছি যাতে করে জটিলতা আর না হয়। এসময় তিনি আরও বলেন, এখানকার শিশুদের টিকা কার্ড বা কোন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে বয়স নির্ধারন করে যতটুকু পরিচয় পাওয়া সম্ভব হয় তার ভিত্তিতেই তাদের জন্ম নিবন্ধন করা হবে। এই শিশুরা জন্ম নিবন্ধন না করতে পেরে স্কুলে ভর্তি সহ নানাবিধ সমস্যায় নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হতেন। নানা ধরনের হয়রানি ও অবহেলার শিকার হতে হতো তাদের কে। সেজন্য সকল শিশুর নাগরিক অধিকার ফিরিয়ে দিতে জন্ম নিবন্ধন কার্যক্রম সহজ করন করা হয়েছে। এখন থেকে কোন শিশুরা পরিচয়হীন আর থাকবে না। আলোচনা চলাকালীন সময়ে যৌনপল্লীর বাসিন্দাদের সতর্ক করে বলেন, এখানে যেন কেউ একাধিক নাম ব্যবহার না করে একাধিক জন্ম নিবন্ধন না করতে পারে এ বিষয়ে আপনারা দেখভাল করবেন। এজন্য জন্মনিবন্ধনের আবেদনের সময় বাচ্চা ও তার মায়ের ছবি জন্ম নিবন্ধনের সাথে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।এরআগে সকালে রথখোলা যৌনপল্লীর সংলগ্ন শাপলা মহিলা সংস্থার কার্যালয়ে যৌনপল্লীর বাসিন্দাদের নিয়ে এ বিষয় বিস্তারিত আলাপ আলোচনা করেন।এসময় উপস্থিত ছিলেন, পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ তানজিলুর রহমান, হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা গোবিন্দ চন্দ্র মন্ডল, সমাজ উন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ আহাদুজ্জামান, স্যানিটারি ইন্সপেক্টর মোঃ মামুন হোসেন, কম্পিউটার অপারেটর জন্ম নিবন্ধন শাখার সৌরভ ঘোষ, কম্পিউটার অপারেটর ইন্দ্রজিত পাল নিত্য, শাপলা মহিলা সংস্থার নির্বাহী পরিচালক চঞ্চলা মন্ডল, উপনির্বাহী পরিচালক শ্যামল প্রকাশ অধিকার, রীনা সাহা, লক্ষণ বিশ্বাস ও ফরিদপুর রথখোলার যৌনপল্লীর বাসিন্দাসহ গনমাধ্যম কর্মীরা।