সম্পাদকীয় ধর্ষণ নিয়ে দুটি কথা

- আপডেট সময় : ১২:৪৯:১৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫ ৫৩ বার পড়া হয়েছে

দৈনিক ফরিদপুর মহানগর বার্তার প্রকাশক ও সম্পাদক
নাজমুল হুদা বাশার
আছিয়া মরবে না,যদি ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ।
একজন আবু সাঈদের গল্প যদি পুরো বাংলাদেশকে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয়ে একাত্ম করতে পারে তবে এমন মায়ামাখা হাসিখুশির আছিয়ার বীভৎস পৈশাচিক হৃদয়স্পর্শী করুন অমানবিক খুন হওয়াটাকি আমাদেরকে দৃঢ়প্রতিজ্ঞায় একাত্ম করবে না।
খুব ভাল করে আছিয়ার হাসিমাখা আনন্দে চকচক করা নয়ন দুটি একবার হৃদয়ের অনুভূতি দিয়ে উপলব্ধি করুন,পৃথিবীতে আনন্দ নিয়ে ভালভাবে বেঁচে থাকবার অন্যরকম একগুচ্ছ স্বপ্নের কথা বলছে।
একজন আছিয়ার মায়ের সন্তান হারাবার কষ্ট হয়তো আমরা সাময়িক সমবেদনা বা পরবর্তী কিছু সুযোগসুবিধা প্রদান করেই ক্ষাম্ত হবো কিন্তু একজন আছিয়ার মায়ের অন্তর্জালের বিষাদের গল্প যদি বুঝতে হয় তবে এখনই রাষ্ট্রীয়ভাবে বাংলাদেশে নারী নির্যাতন ও হত্যাযজ্ঞের আমূল-পরিবর্তনের জন্য কঠোর চরম কঠোর আইনকে কার্যকরী করা উচিৎ।
উনবিংশ শতাব্দীর বায়ান্ন,একাত্তরের বাংলাদেশ আমরা দেখিনি কিম্তু বিংশশতাব্দীর চব্বিশের ছাত্রজনতার দ্রোহের বিপ্লবী দৃঢ়তার শপথ ও বহু জীবনের নিঃস্বার্থ আত্মত্যাগ দেখেছি ও পরবর্তীতে বাংলাদেশকে নতুনভাবে বিনির্মানের আয়োজন দেখছি সকল দলমতের ঐক্যমতে।চরমভাবে চব্বিশের আন্দোলনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে ভীষনভাবে প্রত্যাশা করছি- আছিয়ার মৃত্যু বাংলাদেশের লজ্জা হলেও পরবর্তী সকল লজ্জার মৃত্যু ঘটাতে হলে এখান থেকে আমাদেরকে আদর্শ শিক্ষা নিতে হবে ধর্ষনের উপযুক্ত শাস্তির বিধান করে।
যদিও মাঝেমাঝে বাংলাদেশের বর্তমান সংস্কারের স্বপ্নকে নিজের চিন্তায় মলিন দেখি কারন সংস্কারের মাধ্যমে যদি বাংলাদেশ গড়তে হয় তবে অবশ্যই বৃটিশদের নিয়মের আইনগুলোকে অবশ্যই বাতিল করা উচিৎ,যদি আমরা আমাদের দেশকে আমাদের নিয়মে চালাতে চাই তবে অবশ্যই অতীত ঔপনিবেশিক দখলদার শোষকদের নিয়ম থেকে বেড়িয়ে এসে বাংলাদেশের জনগনের মতামতের উপর ভিত্তিক নিয়মকানুন প্রনয়ণ ও বাস্তবায়ন করা এখন ভাষার দাবী,আবু সাঈদদের দাবী এবং সকল আছিয়া ও তাদের মা বাবার সর্বোচ্চ দাবী।
বর্তমান সময়ের যে মেধাবী মানুষটি বাংলাদেশ বিনির্মানে সময়োপযোগীভাবে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ পদে আসীন,আমি যতটুকু জানি তিনি বিশ্ব পরিবর্তনে এক উপযুক্ত মানুষ এমনকি নির্দলীয় একজন কর্মবীর,বর্তমান বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ডঃ ইউনুস স্যারের কথা বলছি।
যেহেতু বাংলাদেশে সংস্কার ও সংস্করণ তার বিচক্ষণতার দর্শনে হচ্ছে একারনেই তার এবং তার সকল উপদেষ্টাাদের প্রতি আহবান আপনারা সকলেই বাংলাদেশের জনগনের মতামতের ভিত্তিতে বাংলাদেশের সকল নিয়মকানুনের একটি নিজস্ব স্বকীয়তায় বিধি নিষেধের আইনি ব্যাবস্থা প্রতিষ্ঠিত করুন কারন পরবর্তীতে যখন কোনো রাজনৈতিক দল সরকার প্রতিষ্ঠা করবে আরেকদল সেটার বিদ্রোহ করবে তখন নিয়ম সঠিক হলেও মানবেনা আর সঠিক না হলেতো মানবেনা একটা বিশৃঙ্খলার পরিবেশ তৈরী হবে জাতি ভূগবে অনুশোচনার দ্রোহে।
১৯৫২,১৯৭১ যে স্বপ্ন জাতিকে আজও পরিপূর্ণতার আস্বাদন থেকে দূরে রেখেছে ২০২৪ সে সফলতার বাস্তবতার খুব কাছে এনেছে,জানিনা দলবাজি দেশকে কতটা পরিপূর্ণতা এনে দেবে তাই দেশের স্বার্থে নির্দলীয় পরিচালকদের উপর জাতির আস্থা দেখে এমন অনেক সত্যিকার নিরপেক্ষ আবদার করছি সবিনয়ে।দলীয় অসন্তোষ ও ব্যাক্তি লোভ সবসময় দেশে সম্ভাবনার কথা বললেও সবক্ষেত্রে সফলতা এনে দিতে পারেনা কিন্তু সময়ের পরিক্রমায় অনেক ভাল স্বপ্নের বাস্তবতার জন্ম দেয় যেটা এখন বিদ্যমান রয়েছে আমাদের সকলের প্রিয় বাংলাদেশে।দেশের প্রতি ভালবাসা রেখে ও মা জাতের প্রতি পরিপূর্ণ শ্রদ্ধা রেখে বলছি – ধর্ষকদের যুগান্তকারী উপযুক্ত কঠিন বিচারের এবং দ্রুত বাস্তবায়নের কার্যকরী আইনে বেষ্টন করা হোক।।
বাংলাদেশের প্রতি পূর্ণ সমর্থন রেখে সকল দলের প্রতি অনুরোধ দেশের জন্য রাজনীতি হোক সকল দলের নেতাকর্মীদের,কোনো নেতা বা কর্মী ভূল করলে দেশের প্রয়োজনে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন এবং কোনো দলের বা নেতাকর্মীদের ভাল কাজকে সবাই স্বীকার করে দেশের স্বার্থকে ত্বরান্বিত করবেন।যেহেতু বাংলাদেশ একটি গনতান্ত্রিক রাজনৈতিক নির্ভর দেশ তাই দয়াকরে সকলেই দেশের স্বার্থে সম্বলিত সকল ব্যাপারে একাত্মতার পরিচয় বহন করবেন থাকুক আপনাদের মধ্যে যতসব দলীয় বিরোধিতা।
পরিশেষে এমনটাই আত্মবিশ্বাস একজন আবু সাঈদের গল্পের মতো ঘুরে দাঁড়ানোর বাংলাদেশ বিনির্মানে সময়োপযোগী সাহসীকতার বাস্তবতা বাংলাদেশ নির্মানে একজন আছিয়ার গল্প আরও বেগবান করবে সকল বাঙালী এবং বাংলাদেশীকে।