ফরিদপুরে সদরে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ১০ বস্তা সরকারি চাউল জব্দ ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা

- আপডেট সময় : ০৫:০৬:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫ ৩২ বার পড়া হয়েছে

নাজমুল হুদা বাশার বিশেষ প্রতিবেদক ফরিদপুর
ফরিদপুর সদর উপজেলার শিশু পার্ক সংলগ্ন মুন্সি মার্কেট রনি মোল্লার দোকান হতে ১০ বস্তা পঞ্চাশ কেজি ওজনের চাউলের বস্তা জব্দ করা হয়। ১৯ তারিখ দিবাগত গভীর রাতে মোঃ শফিকুল ইসলাম এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ভুমি ফরিদপুর সদরের বিশেষ অভিযানেএই চাউল জব্দ করা সহ পঞ্চাশ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়,উক্ত অভিযান পরিচালনার সময়ে উপস্থিত ছিলেন- ফরিদপুর সদর উপজেলার খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা মোঃ আফজাল হোসেন ও উপজেলা খাদ্য পরিদর্শক মোঃ ইকরাম হোসেন খান এবং কোতয়ালী থানার এসআই কবীর আহমেদ ও তার সঙ্গীয় ফোর্স সহ সাংবাদিক, স্থানীয় ছাত্রজনতার উপস্থিতিতে দোকানের মালিক রনি মোল্লার পিতাঃ তৈবুর রহমান ফরিদপুর সদর এর উপস্থিতিতে রনি মোল্লার দোকান থেকে দশ বস্তা মিনিস্টারি অফ ফুড এর চাউল পাওয়া যায়। এ সময় দেখা যায় গোডাউনে থাকা বিভিন্ন ব্র্যান্ডের বস্তায় চাউল ভেজাল করে প্যাকেট করার জন্য খোলা অবস্থায় রেখেছেন। এ ব্যাপারে রনির কাছে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জানান আমি অধিক লাভের আশায় অবৈধ উপায়ে কিছু চাউল ক্রয় করেছি যা আমার অন্যায় হয়েছে,আমি এই ধরনের ভুল আর কখনো করবো না বলে ব্যাবসায়ী রনি জানান। এসময় রনি মোল্লার নিকট চাউল ক্রয় ও বিক্রয় সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন ৪৮ টাকা থেকে ৪৯ টাকা দরে তিনি প্রতিকেজি চাউল ক্রয় করেছেন। এই চাউল বাজারে প্রতি কেজি ৮০ থেকে ৯০ টাকা দরে বিক্রি করা হয়,
এছাড়াও পার্শ্ববর্তী শম্ভুনাথের মেসার্স সূর্যমুখী নামক আরেকটি চাউলের গোডাউন অভিযান পরিচালনা করা হয়।
মেসার্স সূর্যমুখী গোডাউন অভিযান পরিচালন করে সেখানে ৮০ টি ফুডের খালি বস্তা দেখা যায়, যাহা চাউলের বস্তার নীচে চট বিছানা হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে।
পরবর্তীতে শম্ভুনাথ ত্রূটি বিচ্যুতি শোধরানোর একটি মুচলেকা প্রদান করেন যে ভবিষ্যতে তিনি এই ধরনের কাজ আর কখনো করবেন না। এ বিষয়ে অধিকতর তদন্তের জন্য উপজেলা ফুড কর্মকর্তাগণ ২০ মে সকাল ১১ ঘটিকায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে শম্ভুনাথের সকল কাগজপত্র যাচাই-বাছাইপূর্বক দেখতে পান তিনি এই গোডাউনে ৩০০ মেট্রিক টন চাউল রাখতে পারবেন বলে উল্লেখিত একটি লাইসেন্স দেখান। পরবর্তীতে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিসার প্রবীর তার অন্যান্য অফিস সহকারীদের দিয়ে চাউলের বস্তা গণনা করেন, গণনা শেষে ৬৫৪৩ বস্তা ২৫ কেজি ওজনের চাউল পাওয়া যায় এরমধ্যে এই গোডাউনে সর্বমোট ১১ টি ব্র্যান্ডের চাউলের বস্তা দেখা যায়। এ সময় এই গোডাউনের ক্যাপাসিটি ও মজুদ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তাগণ বলেন, এখানে তিনশত মেট্রিক টন চাল মজুদ করা যাবে,আপাতত এখানে ১৬৩ টন চাউল পাওয়া গেছে তবে আমাদের নজরে থাকবে যদি ৩০০ মেট্রিক টনের বেশি চাউল এখানে মজুত রাখে আমরা অবশ্যই এদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেব বলে জানিয়েছেন উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা।