ফরিদপুর সদরে বড় ভাইয়ের ছুরিকাঘাতে ছোট ভাই কাইয়ুম হাওলাদার নিহত

- আপডেট সময় : ০৮:০৯:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫ ৩৫ বার পড়া হয়েছে

রেজাউল করিম-ফরিদপুর
ফরিদপুর সদর উপজেলার কৈজুরী ইউনিয়নের ইছাইল গ্রামের ইউনুচ হাওলাদারের বরপুত্রের ছুরিকাঘাতে প্রাণ গেল ছোট ভাই কাইয়ুম হাওলাদারের। সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, অভাবের সংসারের কথা চিন্তা করে তার পিতা মাতা সৌদি আরবে যাওয়ার জন্য পাঁচ লাখ টাকা দেন এরই ধারাবাহিকতা নিয়েই দুই ভাইয়ের মধ্যে বিরোধ শুরু হয়, যা শেষ পর্যন্ত
বড় ভাইয়ের চোখে ছোট ভাই কাইয়ুম কাল হয়ে যায়, শেষ পর্যন্ত মর্মান্তিক ভাবে হত্যা কান্ড ঘটিয়ে ফেলে বড় ভাই।
শনিবার (২৪ মে) দুপর তিন ঘটিকার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাষণ্ড ভাইয়ের ছুরিকাঘাতে কাইয়ুম হাওলাদারের মৃত্যু হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২২ মে) রাতে দুই ভাই তর্কবিতর্কে জরিয়ে পড়েন। একপর্যায়ে বড় ভাই ছুরি দিয়ে কুপিয়ে জখম করলে তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
নিহত কাইয়ুম হাওলাদার জিবনজীবিকার তাগিদে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে একটি চা-সিগারেটের দোকান করতেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, কাইয়ুম সম্প্রতি সৌদি আরবে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন। এজন্য মা-বাবা তাকে পাঁচ লাখ টাকা দেন। এই টাকাকে কেন্দ্র করে তার বড় ভাই রাহিমের হাওলাদারের সঙ্গে বিরোধ সৃষ্টি হয়। বৃহস্পতিবার রাতে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে রাহিম ক্ষিপ্ত হয়ে ধারালো চাকু দিয়ে কাইয়ুমের পেটে আঘাত করেন। তৎক্ষণাৎ আহত কাইয়ুমকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শনিবার দুপুরে দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কাইয়ুম হাওলাদারের মৃত্যু হয়। এব্যাপারে মুঠো ফোনে জানতে চাইলে দৈনিক ফরিদপুর মহানগর বার্তা’র সাংবাদিকদের জানান- ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদউজ্জামান এই মর্মান্তিক মৃত্যুর খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনার তদন্ত চলছে, আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
বড়ো ভাইয়ের ছুরিকাঘাতে ছোট ভাই নিহত হওয়ায় এলাকাবাসী সহ পরিবার পরিজন ও স্বজনদের আহাজারিতে শোকের মাতম হয়ে ভারি হয়ে গেছে পুরো এলাকা জুড়ে।