ঢাকা ০৮:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ৩০ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ফরিদপুরে মহাবতারী শ্রী শ্রী প্রভু জগদ্বন্ধু সুন্দরের ১৫৫ তম শুভ আবির্ভাব উৎসব সম্পন্ন ফরিদপুরে মহাবতারী শ্রী শ্রী প্রভু জগদ্বন্ধু সুন্দরের ১৫৫ তম শুভ আবির্ভাব উৎসব সম্পন্ন ফরিদপুরে বিক্রি করে দেওয়া শিশু তানহাকে উদ্ধার তীব্র গরমে তরুণ প্রজন্ম সংগঠন পক্ষ থেকে ঠান্ডা শরবত বিতরণ নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি দেলোয়ার হোসেন গ্রেফতার। স্টাফ রিপোর্টার আওয়ামী লীগের দোষর সাংবাদিক এখন নব্য বিএনপি আওয়ামী লীগের দোষর সাংবাদিক এখন নব্য বিএনপি নিজস্ব প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগের দোষর ও সাবেক ঢাকা ১৮ আসনের এমপি হাবিব হাসানের পিআরও বদরুল আলম এখন বিএনপি মনা সাংবাদিক। আবার জায়ামতের কাছে নিজেকে জামায়াত পন্থী সাংবাদিক বলে ও বিভিন্ন সুবিধা আদায় করে।এ যেন এক অলৌকিক ক্ষমতায় নেতাদের কাছে নিজেকে জাহির করাই তার কাজ।বিগত দিনে ভালো কোন হাউজে চাকরির অভিজ্ঞতা না থাকলে ও নিজেকে ফেসবুকে বড় সাংবাদিক পরিচয় দিতে সব সময় আছে সরব উপস্থিতি। উত্তরা প্রেসক্লাব কে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে তার পথচলা।নিজের পছন্দ করা কিছু সাংবাদিক কে ক্লাবের সদস্য বানিয়ে সে নীরব চাঁদাবাজি করে আসছে বলে ও অভিযোগ পাওয়া গেছে।বিগত ১৭ বছরে আওয়ামী লীগের শাসনামলে এমপি হাবিব হাসানের স্বঘোষিত পিআরও হিসেবে নিজেকে জাহির করতেন। তাই বিএনপি এবং অন্যান্য দলের লোকজন তার ভয়ে আতঙ্কিত থাকতো।বিগত দিনে ক্লাবের নাম ব্যবহার করে তার লালিত বাহিনী দিয়ে চাঁদা আদায় করতো।টাকা না দিলে ফেসবুক ভুয়া পোস্ট করে নেতাকর্মীদের মানহানী করতো।এবং বিভিন্ন সময় এমপি হাবিব হাসান কে ব্যবহার করে জেল খানায় পাঠাতো এই বদরুল আলম।সম্প্রতি তার একটি ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়।যেখানে বদরুল আলম বলেন’ বঙ্গবন্ধু বিহীন বাংলাদেশ চিন্তা করা যাবে না ‘। গত ১৫ ফেব্রুয়ারী উত্তরা প্রেসক্লাব নির্বাচন হয়ে গেল।সেখানে সভাপতি পদে আওয়ামী লীগ সক্রিয় সদস্য আলাউদ্দিন আল আজাদ সভাপতি হয়, যার মুল কারিগর ছিলেন বদরুল আলম মজুমদার। তিনি স্থানীয় আওয়ামিলীগ নেতাদের থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে এই জালিয়াতি করেছে বলে জানা গেছে।গত ৫ ই আগস্টের পর আলাউদ্দিন আল আজাদ তার ফেসবুকে পোস্টে আওয়ামী লীগের পক্ষে নিয়মিত পোস্ট করেন যা সকলের নজরে আসে। পরে সে পোস্টগুলো ডিলেট করে দেয় আলাউদ্দিন আল আজাদ। কিন্তু কিছু জ্বালাময়ী পোস্ট এখনো তার ফেসবুকে দেখা যাচ্ছে। জানাগেছে এর অন্তরালে কাজ করেছে উত্তরা প্রেস ক্লাবের সাবেক স্বঘোষিত সভাপতি বদরুল আলম মজুমদার। তার কারনে উত্তরা সাংবাদিকরা বিভিন্ন হামলা মামলা শিকার হয়েছে। অনেকে জেল খেটেছে। তার মতের অমিল হলেই মামলার ভয় দেখিয়ে সুবিধা নিতো বদরুল।সর্বশেষ তার আক্রোশের শিকার মানবকন্ঠের সাংবাদিক ও উত্তরা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি রাসেল খান।এছাড়া বিএনপির অনেক হেবিয়েট নেতাদের অভিযোগ ক্লাব ঘরের কথা বলে এ পর্যন্ত১ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বদরুল।ক্লাব ঘর তার একটি পুঁজি হিসেবে কাজ করছে।ইচ্ছে করলে সে ক্লাব ঘর নির্মাণ কাজ শেষ করতে পারতো কিন্তু সে তা করেনি।বরং ক্লাব ঘর দেখিয়ে সে নিয়মিত চাঁদা আদায় করছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।বদরুল এর অপ-সাংবাদিকতা থেকে মুক্তি চায় নেতাকর্মীরা। উত্তরা প্রেসক্লাব সংগঠন নিয়ম অনুযায়ী একজন সভাপতি ২ বারের বেশি থাকতে পারবে না।সে কারনে নিজের জন্য একটি পদ তৈরি করেন বদরুল।সে বর্তমানে সিনিয়র সহ সভাপতি আর সভাপতি আওয়ামী লীগের সক্রিয় সদস্য আলাউদ্দিন আল আজাদ। এবিষয়ে উত্তরা ছাত্র আন্দোলনের প্রথম সারির নেতাকর্মীরা বিষয়টি মেনে নিতে পারছেন না ফরিদপুরে প্রবাসীর- স্ত্রী শিশু সন্তান রেখে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা নিয়ে প্রেমিকের প্রেমেমগ্ধ হয়ে পালালেন শিউলি ফরিদপুরে প্রবাসীর- স্ত্রী শিশু সন্তান রেখে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা নিয়ে প্রেমিকের প্রেমেমগ্ধ হয়ে পালালেন শিউলি নড়াইলে সেনাবাহিনীর অভিযানে একটি ওয়ানশুটারগান ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধারসহ আটক ৩
সংবাদ শিরোনাম ::
ফরিদপুরে মহাবতারী শ্রী শ্রী প্রভু জগদ্বন্ধু সুন্দরের ১৫৫ তম শুভ আবির্ভাব উৎসব সম্পন্ন ফরিদপুরে মহাবতারী শ্রী শ্রী প্রভু জগদ্বন্ধু সুন্দরের ১৫৫ তম শুভ আবির্ভাব উৎসব সম্পন্ন ফরিদপুরে বিক্রি করে দেওয়া শিশু তানহাকে উদ্ধার তীব্র গরমে তরুণ প্রজন্ম সংগঠন পক্ষ থেকে ঠান্ডা শরবত বিতরণ নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি দেলোয়ার হোসেন গ্রেফতার। স্টাফ রিপোর্টার আওয়ামী লীগের দোষর সাংবাদিক এখন নব্য বিএনপি আওয়ামী লীগের দোষর সাংবাদিক এখন নব্য বিএনপি নিজস্ব প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগের দোষর ও সাবেক ঢাকা ১৮ আসনের এমপি হাবিব হাসানের পিআরও বদরুল আলম এখন বিএনপি মনা সাংবাদিক। আবার জায়ামতের কাছে নিজেকে জামায়াত পন্থী সাংবাদিক বলে ও বিভিন্ন সুবিধা আদায় করে।এ যেন এক অলৌকিক ক্ষমতায় নেতাদের কাছে নিজেকে জাহির করাই তার কাজ।বিগত দিনে ভালো কোন হাউজে চাকরির অভিজ্ঞতা না থাকলে ও নিজেকে ফেসবুকে বড় সাংবাদিক পরিচয় দিতে সব সময় আছে সরব উপস্থিতি। উত্তরা প্রেসক্লাব কে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে তার পথচলা।নিজের পছন্দ করা কিছু সাংবাদিক কে ক্লাবের সদস্য বানিয়ে সে নীরব চাঁদাবাজি করে আসছে বলে ও অভিযোগ পাওয়া গেছে।বিগত ১৭ বছরে আওয়ামী লীগের শাসনামলে এমপি হাবিব হাসানের স্বঘোষিত পিআরও হিসেবে নিজেকে জাহির করতেন। তাই বিএনপি এবং অন্যান্য দলের লোকজন তার ভয়ে আতঙ্কিত থাকতো।বিগত দিনে ক্লাবের নাম ব্যবহার করে তার লালিত বাহিনী দিয়ে চাঁদা আদায় করতো।টাকা না দিলে ফেসবুক ভুয়া পোস্ট করে নেতাকর্মীদের মানহানী করতো।এবং বিভিন্ন সময় এমপি হাবিব হাসান কে ব্যবহার করে জেল খানায় পাঠাতো এই বদরুল আলম।সম্প্রতি তার একটি ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়।যেখানে বদরুল আলম বলেন’ বঙ্গবন্ধু বিহীন বাংলাদেশ চিন্তা করা যাবে না ‘। গত ১৫ ফেব্রুয়ারী উত্তরা প্রেসক্লাব নির্বাচন হয়ে গেল।সেখানে সভাপতি পদে আওয়ামী লীগ সক্রিয় সদস্য আলাউদ্দিন আল আজাদ সভাপতি হয়, যার মুল কারিগর ছিলেন বদরুল আলম মজুমদার। তিনি স্থানীয় আওয়ামিলীগ নেতাদের থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে এই জালিয়াতি করেছে বলে জানা গেছে।গত ৫ ই আগস্টের পর আলাউদ্দিন আল আজাদ তার ফেসবুকে পোস্টে আওয়ামী লীগের পক্ষে নিয়মিত পোস্ট করেন যা সকলের নজরে আসে। পরে সে পোস্টগুলো ডিলেট করে দেয় আলাউদ্দিন আল আজাদ। কিন্তু কিছু জ্বালাময়ী পোস্ট এখনো তার ফেসবুকে দেখা যাচ্ছে। জানাগেছে এর অন্তরালে কাজ করেছে উত্তরা প্রেস ক্লাবের সাবেক স্বঘোষিত সভাপতি বদরুল আলম মজুমদার। তার কারনে উত্তরা সাংবাদিকরা বিভিন্ন হামলা মামলা শিকার হয়েছে। অনেকে জেল খেটেছে। তার মতের অমিল হলেই মামলার ভয় দেখিয়ে সুবিধা নিতো বদরুল।সর্বশেষ তার আক্রোশের শিকার মানবকন্ঠের সাংবাদিক ও উত্তরা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি রাসেল খান।এছাড়া বিএনপির অনেক হেবিয়েট নেতাদের অভিযোগ ক্লাব ঘরের কথা বলে এ পর্যন্ত১ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বদরুল।ক্লাব ঘর তার একটি পুঁজি হিসেবে কাজ করছে।ইচ্ছে করলে সে ক্লাব ঘর নির্মাণ কাজ শেষ করতে পারতো কিন্তু সে তা করেনি।বরং ক্লাব ঘর দেখিয়ে সে নিয়মিত চাঁদা আদায় করছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।বদরুল এর অপ-সাংবাদিকতা থেকে মুক্তি চায় নেতাকর্মীরা। উত্তরা প্রেসক্লাব সংগঠন নিয়ম অনুযায়ী একজন সভাপতি ২ বারের বেশি থাকতে পারবে না।সে কারনে নিজের জন্য একটি পদ তৈরি করেন বদরুল।সে বর্তমানে সিনিয়র সহ সভাপতি আর সভাপতি আওয়ামী লীগের সক্রিয় সদস্য আলাউদ্দিন আল আজাদ। এবিষয়ে উত্তরা ছাত্র আন্দোলনের প্রথম সারির নেতাকর্মীরা বিষয়টি মেনে নিতে পারছেন না ফরিদপুরে প্রবাসীর- স্ত্রী শিশু সন্তান রেখে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা নিয়ে প্রেমিকের প্রেমেমগ্ধ হয়ে পালালেন শিউলি ফরিদপুরে প্রবাসীর- স্ত্রী শিশু সন্তান রেখে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা নিয়ে প্রেমিকের প্রেমেমগ্ধ হয়ে পালালেন শিউলি নড়াইলে সেনাবাহিনীর অভিযানে একটি ওয়ানশুটারগান ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধারসহ আটক ৩

ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, মানেই দিনে দুপুরে প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি ও দুর্নীতি

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০২:৫৪:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ মে ২০২৫ ১৩৯ বার পড়া হয়েছে
আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

 

গালিব মাহাবুব, ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধি

ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, মানেই দিনে দুপুরে প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি ও দুর্নীতি

গালিব মাহাবুব, ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধি

ফরিদপুর সরকারি হসপিটালে রোগী নিয়ে যাওয়ার সাথে সাথেই টিকেট নিতে হয়। টিকেট এর দাম ১০টাকা, টিকেট নেওয়ার পর যদি রোগীকে ভর্তি করাতে হয়,তাহলে দিতে হবে ২০ টাকা অথচ লেখা আছে ১৫ টাকা। তারপর টিকেট নিয়ে রোগীকে হুইল চেয়ারে করে ওয়ার্ডে নিয়ে গেলে ১০০টাকা, আর রোগীর অবস্থা বেশি খারাপ হলে ট্রলি নিলে গুনতে হবে ২০০ টাকা। ওয়ার্ডে রোগীর সাথে একজনের বেশি প্রবেশ করলে, জন প্রতি গুনতে হবে ২০ টাকা। আবার ৫০ টাকা হলে আপনি পেয়ে যাবেন বেড। আর যদি টাকা না দিতে পারেন, তাহলে ফ্লোরে থাকতে হবে বেড থাকা সত্বেও, অতঃপর রোগীকে ভর্তির কার্যক্রম শেষ করে,খাবার ও ওয়াশরুমের পরিবেশ খুবই বাজে যারা থাকে তারাই শুধু জানে আর মুখ বুজে সবকিছু সহ্য করে, এবার আসুন ডাক্তারের পালায়। ডাক্তার আসবে রোগী দেখবে,তারপর শুরু হবে পরীক্ষা। প্রথমে কমপক্ষে ২-৪টি পরীক্ষা, সাথে ১বস্তা স্যালাইন ও কিছু ঔষধ। পরীক্ষা রিপোর্ট আসা পর্যন্ত স্যালাইন আর ঔষধ চলবে।

রিপোর্ট আসার পর আরেক ডাক্তার আসবে সে দেখে আবার অন্য পরীক্ষা দিবে। এভাবে প্রতিদিন ডাক্তার পরিবর্তন হয়, আর একটার পর একটা পরীক্ষা দেয়। আবার পরিক্ষা করাতে হুইলচেয়ারে নিয়ে গেলে ১০০টাকা আর ট্রলিতে নেওয়া লাগলে ২০০টাকা, ওয়ার্ড বয়কে দিতে হবে। আর প্রতিদিন নতুন নতুন ঔষধ যোগ হবে, আবার প্রতিদিন রোগীর সাথে দেখা করতে আসলে দারোয়ানকে খুশি করতে হবে।সব পরিক্ষা শেষে, এবার অপারেশন এর পালা, যা ওষুধ লাগবে তার থেকেও দুই গুণ বেশি ওষুধ, ডাক্তারের হাতে এনে দিতে হবে। তারপর অপারেশনে যদি রোগী মারা যায়, তাহলে টাকা এবং মানুষ সবই শেষ। আর অপারেশন যদি সাক্সেস হয়, তাহলে অপারেশন থিয়েটার বয়কে খুশি করতে হবে।দারোয়ানকে খুশি করতে হবে, এবং নার্স দিয়ে ড্রেসিং করতে হলে, নার্সদের কেউ খুশি করতে হবে। এবার রিলিস এর পালা,বাড়ি যাওয়ার সময় আবার নার্সকে খুশি করতে হবে। দারোয়ানকে খুশি করতে হবে। ওয়ার্ড বয়কে খুশি করতে হবে। সবাইকে খুশি করে, এই যদি হয় সরকারি হসপিটালের অবস্থা তাহলে গরীব অসহায় মানুষ কোথায় যাবে? সাধারণ মানুষ কি কখনোই তাদের ন্যায্য অধিকার ফিরে পাবে না? অসহায় মানুষ কি সারা জীবনই এরকমই ভুক্তভোগী হয়ে থাকবে? এ কেমন নিয়ম ? এর কি কোন প্রতিকার নেই? এই রকম হাজারো প্রশ্ন, ফরিদপুর জেলা এবং আশেপাশের সব জেলার খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষের।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

আওয়ামী লীগের দোষর সাংবাদিক এখন নব্য বিএনপি নিজস্ব প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগের দোষর ও সাবেক ঢাকা ১৮ আসনের এমপি হাবিব হাসানের পিআরও বদরুল আলম এখন বিএনপি মনা সাংবাদিক। আবার জায়ামতের কাছে নিজেকে জামায়াত পন্থী সাংবাদিক বলে ও বিভিন্ন সুবিধা আদায় করে।এ যেন এক অলৌকিক ক্ষমতায় নেতাদের কাছে নিজেকে জাহির করাই তার কাজ।বিগত দিনে ভালো কোন হাউজে চাকরির অভিজ্ঞতা না থাকলে ও নিজেকে ফেসবুকে বড় সাংবাদিক পরিচয় দিতে সব সময় আছে সরব উপস্থিতি। উত্তরা প্রেসক্লাব কে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে তার পথচলা।নিজের পছন্দ করা কিছু সাংবাদিক কে ক্লাবের সদস্য বানিয়ে সে নীরব চাঁদাবাজি করে আসছে বলে ও অভিযোগ পাওয়া গেছে।বিগত ১৭ বছরে আওয়ামী লীগের শাসনামলে এমপি হাবিব হাসানের স্বঘোষিত পিআরও হিসেবে নিজেকে জাহির করতেন। তাই বিএনপি এবং অন্যান্য দলের লোকজন তার ভয়ে আতঙ্কিত থাকতো।বিগত দিনে ক্লাবের নাম ব্যবহার করে তার লালিত বাহিনী দিয়ে চাঁদা আদায় করতো।টাকা না দিলে ফেসবুক ভুয়া পোস্ট করে নেতাকর্মীদের মানহানী করতো।এবং বিভিন্ন সময় এমপি হাবিব হাসান কে ব্যবহার করে জেল খানায় পাঠাতো এই বদরুল আলম।সম্প্রতি তার একটি ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়।যেখানে বদরুল আলম বলেন’ বঙ্গবন্ধু বিহীন বাংলাদেশ চিন্তা করা যাবে না ‘। গত ১৫ ফেব্রুয়ারী উত্তরা প্রেসক্লাব নির্বাচন হয়ে গেল।সেখানে সভাপতি পদে আওয়ামী লীগ সক্রিয় সদস্য আলাউদ্দিন আল আজাদ সভাপতি হয়, যার মুল কারিগর ছিলেন বদরুল আলম মজুমদার। তিনি স্থানীয় আওয়ামিলীগ নেতাদের থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে এই জালিয়াতি করেছে বলে জানা গেছে।গত ৫ ই আগস্টের পর আলাউদ্দিন আল আজাদ তার ফেসবুকে পোস্টে আওয়ামী লীগের পক্ষে নিয়মিত পোস্ট করেন যা সকলের নজরে আসে। পরে সে পোস্টগুলো ডিলেট করে দেয় আলাউদ্দিন আল আজাদ। কিন্তু কিছু জ্বালাময়ী পোস্ট এখনো তার ফেসবুকে দেখা যাচ্ছে। জানাগেছে এর অন্তরালে কাজ করেছে উত্তরা প্রেস ক্লাবের সাবেক স্বঘোষিত সভাপতি বদরুল আলম মজুমদার। তার কারনে উত্তরা সাংবাদিকরা বিভিন্ন হামলা মামলা শিকার হয়েছে। অনেকে জেল খেটেছে। তার মতের অমিল হলেই মামলার ভয় দেখিয়ে সুবিধা নিতো বদরুল।সর্বশেষ তার আক্রোশের শিকার মানবকন্ঠের সাংবাদিক ও উত্তরা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি রাসেল খান।এছাড়া বিএনপির অনেক হেবিয়েট নেতাদের অভিযোগ ক্লাব ঘরের কথা বলে এ পর্যন্ত১ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বদরুল।ক্লাব ঘর তার একটি পুঁজি হিসেবে কাজ করছে।ইচ্ছে করলে সে ক্লাব ঘর নির্মাণ কাজ শেষ করতে পারতো কিন্তু সে তা করেনি।বরং ক্লাব ঘর দেখিয়ে সে নিয়মিত চাঁদা আদায় করছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।বদরুল এর অপ-সাংবাদিকতা থেকে মুক্তি চায় নেতাকর্মীরা। উত্তরা প্রেসক্লাব সংগঠন নিয়ম অনুযায়ী একজন সভাপতি ২ বারের বেশি থাকতে পারবে না।সে কারনে নিজের জন্য একটি পদ তৈরি করেন বদরুল।সে বর্তমানে সিনিয়র সহ সভাপতি আর সভাপতি আওয়ামী লীগের সক্রিয় সদস্য আলাউদ্দিন আল আজাদ। এবিষয়ে উত্তরা ছাত্র আন্দোলনের প্রথম সারির নেতাকর্মীরা বিষয়টি মেনে নিতে পারছেন না

ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, মানেই দিনে দুপুরে প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি ও দুর্নীতি

আপডেট সময় : ০২:৫৪:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ মে ২০২৫

 

 

গালিব মাহাবুব, ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধি

ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, মানেই দিনে দুপুরে প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি ও দুর্নীতি

গালিব মাহাবুব, ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধি

ফরিদপুর সরকারি হসপিটালে রোগী নিয়ে যাওয়ার সাথে সাথেই টিকেট নিতে হয়। টিকেট এর দাম ১০টাকা, টিকেট নেওয়ার পর যদি রোগীকে ভর্তি করাতে হয়,তাহলে দিতে হবে ২০ টাকা অথচ লেখা আছে ১৫ টাকা। তারপর টিকেট নিয়ে রোগীকে হুইল চেয়ারে করে ওয়ার্ডে নিয়ে গেলে ১০০টাকা, আর রোগীর অবস্থা বেশি খারাপ হলে ট্রলি নিলে গুনতে হবে ২০০ টাকা। ওয়ার্ডে রোগীর সাথে একজনের বেশি প্রবেশ করলে, জন প্রতি গুনতে হবে ২০ টাকা। আবার ৫০ টাকা হলে আপনি পেয়ে যাবেন বেড। আর যদি টাকা না দিতে পারেন, তাহলে ফ্লোরে থাকতে হবে বেড থাকা সত্বেও, অতঃপর রোগীকে ভর্তির কার্যক্রম শেষ করে,খাবার ও ওয়াশরুমের পরিবেশ খুবই বাজে যারা থাকে তারাই শুধু জানে আর মুখ বুজে সবকিছু সহ্য করে, এবার আসুন ডাক্তারের পালায়। ডাক্তার আসবে রোগী দেখবে,তারপর শুরু হবে পরীক্ষা। প্রথমে কমপক্ষে ২-৪টি পরীক্ষা, সাথে ১বস্তা স্যালাইন ও কিছু ঔষধ। পরীক্ষা রিপোর্ট আসা পর্যন্ত স্যালাইন আর ঔষধ চলবে।

রিপোর্ট আসার পর আরেক ডাক্তার আসবে সে দেখে আবার অন্য পরীক্ষা দিবে। এভাবে প্রতিদিন ডাক্তার পরিবর্তন হয়, আর একটার পর একটা পরীক্ষা দেয়। আবার পরিক্ষা করাতে হুইলচেয়ারে নিয়ে গেলে ১০০টাকা আর ট্রলিতে নেওয়া লাগলে ২০০টাকা, ওয়ার্ড বয়কে দিতে হবে। আর প্রতিদিন নতুন নতুন ঔষধ যোগ হবে, আবার প্রতিদিন রোগীর সাথে দেখা করতে আসলে দারোয়ানকে খুশি করতে হবে।সব পরিক্ষা শেষে, এবার অপারেশন এর পালা, যা ওষুধ লাগবে তার থেকেও দুই গুণ বেশি ওষুধ, ডাক্তারের হাতে এনে দিতে হবে। তারপর অপারেশনে যদি রোগী মারা যায়, তাহলে টাকা এবং মানুষ সবই শেষ। আর অপারেশন যদি সাক্সেস হয়, তাহলে অপারেশন থিয়েটার বয়কে খুশি করতে হবে।দারোয়ানকে খুশি করতে হবে, এবং নার্স দিয়ে ড্রেসিং করতে হলে, নার্সদের কেউ খুশি করতে হবে। এবার রিলিস এর পালা,বাড়ি যাওয়ার সময় আবার নার্সকে খুশি করতে হবে। দারোয়ানকে খুশি করতে হবে। ওয়ার্ড বয়কে খুশি করতে হবে। সবাইকে খুশি করে, এই যদি হয় সরকারি হসপিটালের অবস্থা তাহলে গরীব অসহায় মানুষ কোথায় যাবে? সাধারণ মানুষ কি কখনোই তাদের ন্যায্য অধিকার ফিরে পাবে না? অসহায় মানুষ কি সারা জীবনই এরকমই ভুক্তভোগী হয়ে থাকবে? এ কেমন নিয়ম ? এর কি কোন প্রতিকার নেই? এই রকম হাজারো প্রশ্ন, ফরিদপুর জেলা এবং আশেপাশের সব জেলার খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষের।