আওয়ামী লীগ পালিয়ে যাওয়া বিষয়ে যা বললেন বললেন- শহিদুল ইসলাম বাবুল

- আপডেট সময় : ০৩:১৪:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ৪৮ বার পড়া হয়েছে

বিশেষ প্রতিবেদকঃ
রেজাউল করিম
ফরিদপুরে এক জনসভায় আওয়ামী লীগ পালায় না এ বিষয়ে জাতীয়তাবাদী কেন্দ্রীয় কৃষকদলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশের মানুষের ভোটাধিকার নিয়ে অনেক ষড়যন্ত্র হচ্ছে, বিভিন্ন তালবাহানা দেখানো হচ্ছে।এদেশের মানুষের ভোটাধিকার নিয়ে আর ছিনিমিনি খেলতে দেওয়া হবে না। তাই যতদ্রুত সম্ভব জনগণের একটি সুষ্ঠু অবাধ নিরপেক্ষ ভোটের ব্যবস্থা করে একটি শক্তিশালী গনতন্ত্র ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করূন।
রবিবার ০৯ ফেব্রুয়ার-২৫ তারিখ বিকেল বেলা ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী থানাধীন শেখর কাজী সিরাজুল ইসলাম একাডেমির মাঠে ইউনিয়ন কৃষক দলের আয়োজনে কৃষক সমাবেশ এসব কথা বলেন। এসময় শহিদুল ইসলাম বাবুল বলেন,কৃষক ফসল ফলায় কিন্তু তারা ন্যায্যমূল্য পায় না। এর আগে বিএনপি ক্ষমতায় গিয়ে ২৫ বিঘা পর্যন্ত কৃষকের খাজনা মওকুফ করেছেন।আগামী নির্বাচনে বিএনপি ক্ষমতায় আসলে কৃষকদের ভাগ্য উন্নয়নে জন্য সর্বাত্মক কাজ করা হবে। বিএনপিই একমাত্র এ দেশের কৃষকের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন।তিনি আরও বলেন,“গত ৫ আগস্টে ফ্যাসিস্ট হাসিনা পালিয়ে গেছে,রেজিম পরিবর্তন হয়েছে, মানুষের ভাগ্যের কোন পরিবর্তন হয় নাই। জিনিসপত্রের দাম কমে নাই, এখনো মানুষের নিরাপত্তা নাই। এখনো মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা হয় নাই।
তিনি যুক্ত করেন,“বাংলাদেশের বিরুদ্ধে এখনো ওয়ান ইলেভেনের মতো ষড়যন্ত্র হচ্ছে বলে আমরা মনে করছি। সেই জন্য জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা নিয়ে তালবাহানা হচ্ছে। কোন রকম তালবাহানা বা ষড়যন্ত্র আমরা সহ্য করবো না।”তিনি বলেন,“গত ১৭ বছর শেখ হাসিনার চোখে চোখ রেখে লড়াই করেছি, আর আপনারা কারা? সেই জন্যই বলছি যতদ্রুত সম্ভব মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিন। তানাহলে ভালো হবে না, দেশের মানুষ এসব ষড়যন্ত্র মেনে নিবে না।আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে প্রধান অতিথি বলেন,শেখ হাসিনা ও ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন আওয়ামী লীগ পালায় না। তিনদিনের মধ্যে দেশ ছেড়ে আপনারা পালিয়ে গেছেন। লজ্জা করে না, আওয়ামী লীগের কর্মীদের লজ্জা নাই! আপনাদের রেখে যে নেতা-নেত্রীরা পালিয়ে যায় এর পড়েও আপনারা বিভিন্ন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছেন।
তিনি আরো বলেন, “আমরা পালাই না, বিএনপি পালানোর দল করে না। যারা পালায় না তারাই শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের দল করেন।সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে ফরিদপুর-১ আসনের সাবেক সাংসদ ও কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সহসভাপতি খন্দকার নাসিরুল ইসলাম বলেন,“দেশ থেকে পালিয়ে গিয়েও ফ্যাসিস্ট শক্তি নানাভাবে এদেশের মানুষের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। সেই সাথে একটি গোষ্ঠি সরকার গঠনে নানাভাবে পায়তারা করছেন। আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে আহ্বান করবো অতিদ্রুত এ দেশের মানুষের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করতে। আশা রাখি তারা যত দ্রুত সম্ভব একটি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে গোটা জাতি আপনাদের দিকে তাকিয়ে আছে।উপজেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক মো. লুৎফর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক রিপন মোল্যার পরিচালনায় কৃষক সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন,ফরিদপুর-১ আসনের সাবেক সাংসদ ও কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সহসভাপতি খন্দকার নাসিরুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সহ-বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মিয়া হাসান, সদস্য মো. আমিনুল ইসলাম, জেলা কৃষকদলের আহ্বায়ক অ্যাড. মামুনুর রশিদ, জেলা কৃষকদলের সদস্য সচিব মুরাদ হোসেন, বোয়ালমারী সরকারি কলেজের সাবেক জিএস জাহাঙ্গীর আলম মুকুল, ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি সৈয়দ আলী সাকির, যুবদলের সাবেক সভাপতি ইলিয়াস মোল্যা, উপজেলা জাসাসের আহ্বায়ক সৈয়দ রাকিবুল হাসান ফিয়াম ও মৎস্যজীবি দলনেতা মো. রেজাউল মেম্বার মোল্লাসহ আরও অনেক বিএনপির নেতাকর্মীরা।