রোজা ভাঙ্গে কয়েদির স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ RAB কর্মকর্তার বিরুদ্ধে

- আপডেট সময় : ১০:৩৮:৪১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ১০৩ বার পড়া হয়েছে

(তথ্য ও ছবি সংরক্ষিত: কালবেলা)
ক্রসফায়ার দেওয়া হবে, তবে রেহাই মিলবে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করলে। এভাবে আসামিকে ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে তার রোজাদার স্ত্রীকে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ উঠেছে আলিফ উদ্দিন নামে তৎকালীন রেপ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।
এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক তোলপাড় চলছে। সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টার দেশ সচিব শফিকুল আলম এর সম্পর্কে একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন।
আল জাজিরার সাংবাদিক মওদুদ সুজন ফেসবুকে পোস্টটি লিখেছেন। সেই পোস্ট লেখা, ঘুম হওয়া স্বামী বলেছেন, পবিত্র শবে কদরের দিন রোজা ভাঙ্গিয়ে ধর্ষণ করা হয় তার স্ত্রীকে। এর আগেও প্রায় তিনবার ধর্ষণ করা হয়েছে স্বামীকে ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে। শেষবার ধর্ষণের পর স্ত্রীর মানসিক অবস্থা অবনতি হয় এবং কিছুদিন পরে মৃত্যুবরণ করেন।
এই পোস্টে উল্লেখ করা হয়, ধর্ষক র্যাবের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, নাম আলেপ। স্বামী সবকিছু হারিয়ে যখন আলেপকে বারংবার ফোন দিতে থাকে আলেপ রিপ্লাইয়ে জানান, বন্দী মেয়ে বা বন্দী পুরুষদের স্ত্রীর সঙ্গে এমন আচরণ এখানে অলিখিতভাবে স্বীকৃত।
সেখানে উল্লেখ করা হয়, মানুষ কতটা নিচু তে নামলে নিজের মা/স্ত্রী/ মেয়ে থাকা সত্ত্বেও একজন বন্ধীর স্ত্রী এভাবে ট্রিট করে। এই রেপ কর্মকর্তা আলেমের বিচার সবার আগে হওয়া উচিত।
এ নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করেছেন আল জাজিরা সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়েরও। ৫ আগস্ট ২০২৪ পরবর্তী পরিস্থিতিতে এই আলেপ বেশ বহাল তবিয়াতেই দিন কাটাচ্ছিলেন, এসবি থেকে বদলি হয় রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশে। পরে ২০ অক্টোবর ২০২৪ তার একটি পোষ্টের পর যেন কর্তৃপক্ষের টনক নড়ে, আলেপকে বরিশাল পুলিশ লাইন সংযুক্ত করা হয় এবং পরে সেখান থেকে গ্রেফতার দেখানো হয়।
এই আলিফ এর মত খুনি অপহরণকারী এবং অনেকেই বিভিন্ন বাহিনীতে এখনো কর্মরত রয়েছেন। তাদের চিহ্নিত করে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি বলে মন্তব্য করেন সায়ের।
(সংরক্ষিত)